ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধে ওআইসির শক্তিশালী ভূমিকা পালনের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/pm-1_38.jpg?itok=ymsGNEKC×tamp=1567659542)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি সৃষ্টি এবং ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধে শক্তিশালী ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুসলিম দেশগুলোর মধ্যকার ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধে ওআইসি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।”
সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ গতকাল (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তেঁজগাওস্থ কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ কথা জানান।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিবদমান সংঘাতের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুসলিমরা তাদের নিজেদের মধ্যকার বিভাজনের জন্যই রক্তপাতের শিকার হচ্ছে। এর ফলে তৃতীয় পক্ষ বা দেশ এর সুবিধা ভোগ করছে।”
প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় এমন অভিমত ব্যক্ত করেন যে, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যকার বিবাদমান সংঘাত দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ইরানী মন্ত্রীকে বলেন, তিনি নিজেই দুজন শিয়া বালিকাকে দত্তক নিয়েছেন, যারা ভয়াবহ নিমতলী অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিলো।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ৮ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং এই সময় মূল্যস্ফীতি ও ৫ দশমিক ৪ শতাংশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে (২০১৮-১৯ অর্থ বছরে)।”
তিনি আরো বলেন, “তার সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।”
বাংলাদেশ এবং ইরানের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে ঐতিহাসিক আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলা ভাষার বহু শব্দ ফার্সি থেকে এসেছে।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ গতকাল রাজধানীতে শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী তৃতীয় (আইওআরএ) ব্লু ইকোনমি মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকায় আসেন। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির শুভেচ্ছাও প্রধানমন্ত্রীকে পৌঁছে দেন।
Comments