বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের অবস্থান

রাজধানীর অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, নারী শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
Savar RMG
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রাজধানীর অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ইএসকেই ক্লোথিং লিমিটেডের ৮ শতাধিক শ্রমিক কারখানার পাশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ছবি: স্টার

রাজধানীর অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, নারী শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

আজ (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইএসকেই ক্লোথিং লিমিটেডের ৮ শতাধিক শ্রমিক কারখানার পাশে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে শ্রমিক নেতাদের আশ্বাসে আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণের সময় বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।

শ্রমিকরা জানান, গত ২৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কারখানার ২৮ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে। এর প্রতিবাদে কারখানার ভিতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে। এতে কারখানার অন্তত পাঁচ নারী শ্রমিক আহত হন।

গতকাল কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ধর্মঘটের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ সালে ১৩/১ ধারায় কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

কারখানার ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহাল, নারী শ্রমিকদের মারধরের বিচার এবং বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন বলে জানান শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের (বিটিজিডব্লিউএল) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বলেন, “আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া পূরণ না হলে শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বড় ধরনের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করা হবে।”

“পাশাপাশি আমরা বিষয়টি সমাধানে শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ বরাবর লিখিত আবেদন করবো। বিষয়টি সমাধান করা হোক- এটা আমাদের দাবি,” যোগ করেন সারোয়ার হোসেন।

এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) সানা সামিনুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “গত কয়েকদিন থেকে ধর্মঘট ও কারখানায় কাজের পরিবেশ নষ্ট করার কারণে গতকাল ‘নাবা নীট কম্পোজিট লিমিটেড’, সিডকো গ্রুপের ‘ইএসকেই ক্লোথিকং লিমিটেড’ নামের দুটি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। আমরা কাজ করছি বিষয়টি সমাধান করার জন্য।”

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ শে আগস্ট কারখানা দুটি থেকে মোট ৫৮ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। তারপর থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও ছাঁটাইয়ে প্রতিবাদ করে আসছেন শ্রমিকরা।

তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি বাংলাদেশ শ্রমআইন অনুযায়ী শ্রমিকদের যথাযথ পাওনা পরিশোধ করেই শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now