দ্বিতীয় সেশনে সাদামাটা বাংলাদেশ, রহমত-আসগরের ঝলকানি

প্রথম সেশনে ঘূর্ণি বলে যেভাবে আফগানিস্তানকে চেপে রেখেছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা, দ্বিতীয় সেশনে তা উধাও। রহমত শাহ আর আসগর আফগানের দারুণ জুটি উলটো চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশই।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম সেশনে ঘূর্ণি বলে যেভাবে আফগানিস্তানকে চেপে রেখেছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা, দ্বিতীয় সেশনে তা উধাও। রহমত শাহ আর আসগর আফগানের দারুণ জুটি উলটো চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশই।

৩ উইকেটে ৭৭ রান নিয়ে নেমে দ্বিতীয় সেশনে আরও  ১১৪  রান যোগ করেছে আফগানিস্তান। এর সবই এসেছে আসগর-রহমতের জুটিতে দ্বিতীয় সেশন শেষে তাদের স্কোর এখন  ৩ উইকেটে ১৯১   রান। ৯৭   নিয়ে ব্যাট করছেন রহমত, আসগর অপরাজিত আছেন আছেন ৪৮ রানে।

দ্বিতীয় সেশনেই ক্রিজে রহমত শাহর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন আসগর। দুজনেই উইকেটের বাও ধরে নিয়েছেন দারুণভাবে। সব সময়ই অ্যাপ্রোচ রেখেছেন ইতিবাচক। স্কোরিং শট বাড়িয়ে রানের সুযোগ তৈরি করেছেন অহরহ। তাতে আলগা হয়ে যায় বাংলাদেশের স্পিনও। তবে ইতিবাচক হতে গিয়ে অতি আগ্রাসী হয়ে বাজে শট খেলতে দেখা যায়নি তাদের।

তাইজুল ইসলাম চাপটা জারি রাখলেও সাকিব আল হাসানের হাত থেকে বেরিয়েছে অনেক আলগা বল। প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও বির্বণ থেকেছেন নাঈম হাসান। আরেক অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ তুলনামূলক আলগা বল কম দিলেও ধন্দে ফেলার মতো কোন পরিস্থিতিই তৈরি করতে পারেননি।

নিয়মিত স্পিনাররা সুযোগ তৈরি করতে না পারায় সৌম্য সরকারের মিডিয়াম পেস কাজে লাগিয়েও লাভ করতে পারেননি সাকিব। বল হাতে পান অনিয়মিত বাঁহাতি স্পিনার মুমিনুল হকও। তার বলেও গড়বড় না করে মনোযোগের পুরোটা দেখায় আসগর-রহমত জুটি। আসগরকে অবশ্য আউটই করে ফেলেছিলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়ে নাইজেল লঙের ভুল সিদ্ধান্ত থেকে বাঁচেন তিনি।

বাংলাদেশি বোলারদের ধৈর্য্যের  পরীক্ষা বাড়িয়ে শেষ সেশনের জন্যে বাকিটা জমিয়ে রাখল সফরকারীরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

(প্রথম দিনের চা বিরতি পর্যন্ত)

আফগানিস্তান:   ৬৮ ওভারে ১৯১/৩ (ইব্রাহিম ২১, ইসহানুল্লাহ ৯, রহমত ব্যাটিং ৯৭*, শহিদি ১৪, আসগর ব্যাটিং ৪৮*  ; তাইজুল ২/৬২  , সাকিব ০/৪২, মিরাজ ০/৩১, নাঈম ০/২৪, মাহমুদউল্লাহ ১/৩ , সৌম্য ০/২০, মুমিনুল ০/৯)

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago