নিজেদের পাতা ফাঁদে নিজেরাই কাবু

ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে পেসারবিহীন একাদশ নামিয়েছিল বাংলাদেশ। চার বিশেষজ্ঞ স্পিনারের সঙ্গে অনিয়মিত আরও তিন স্পিনার দিয়ে  আফগানিস্তানকে কাবু করার পরিকল্পনা ছিল সাকিব আল হাসানদের। অথচ চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন চা বিরতি পর্যন্ত যা খেলা হলো, তাতে আফগানরা স্পিন সামলে দাপট দেখানোর পর ওদের স্পিনে কাঁপাকাঁপি অবস্থা বাংলাদেশের।

প্রথম সেশনে ৩৪২ রানে অলআউট হওয়া আফগানিস্তানের ইনিংসের জবাব দিতে নেমে ৮৮ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে চা-বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।

এরমধ্যেই আউট হয়ে গেছেন দলের ব্যাটিইংয়ের বড় ভরসা সাকিব ও মুশফিকুর রহিম। ওদের ৩৪২ রান টপকে লিড নেওয়া তো বহুদূরের পথ, ফলোঅন এড়ানো নিয়েই শঙ্কা জাগছে।

লাঞ্চের আগে ইনিংস শুরু করেই সাদমান ইসলামকে খুইয়েছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চ থেকে ফিরে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাট করেছেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। আফগান বোলারদের নিখুঁত লাইন-লেন্থের কারণে দুজনেই ছিল গুটিয়ে। থিতু হতে অনেকটা সময় লেগেছে তাদের। রিস্ট স্পিনার জহির খান আসার পর অহরহ শর্ট বল পেয়ে হাত খুলেন লিটন। তাদের ১৮ ওভারের জুটি থামে ৩৮ রানে। দৃঢ়তা দেখানো সৌম্য ৬৬ বল খেলে ১৭ রান করে এলবিডব্লিওর ফাঁদে পড়েন মোহাম্মদ নবির বলে।

শুরুর নড়বড়ে ভাব সামলে চনমনে হয়ে উঠছিলনে লিটন। খেলছিলেন সাবলীলভাবে। কিন্তু আউট হয়েছেন খুব দৃষ্টিকটু শটে। রশিদ খানের সোজা বল বুঝতে না পেরে পুল করে খুইয়েছেন স্টাম্প।

রশিদ এরপর একই ওভারে ভেঙে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। সাকিবকে এলবিডব্লিও করার পর মুশফিক ফেরেন তার বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে। যদিও চা বিরতির ঠিক আগে এই আউট নিয়ে আছে বিতর্ক। রশিদের স্পিন মাটিতে নামাতে গিয়ে বুটে লেগে শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে যায়। বল বুটে নাকি মাটিতে লেগে ক্যাচ উঠেছে তা স্পষ্ট হয়নি। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার সফট সিগন্যালে আউট দিলে টিভি আম্পায়ার যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় তা বদলাতে পারেননি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

 (দ্বিতীয় দিন চা বিরতি পর্যন্ত)

আফগানিস্তান:   ৩৪২ 

বাংলাদেশ : ৩৩ ওভারে ৮৮/৫ (সাদমান ০, সৌম্য ব্যাটিং ১৭, লিটন ৩৩, মুমিনুল ২৭*, সাকিব ১১, মুশফিক ০,  ; ইয়ামিন ১/৯, নবি ১/২৩, জহির ০/৪০, ৩/১৬)

Comments

The Daily Star  | English

'March to Jamuna': Police charge baton to disperse JnU students

At least 25 students were taken to DMCH after suffering injuries from baton charges or falling ill due to tear gas inhalation

34m ago