চ্যালেঞ্জ কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে বাংলাদেশের
দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানদের তিন উইকেট দ্রুত ফেলে দেওয়া গেছে, কিন্তু তাতে কি। লিডটা যে এরমধ্যই দুইশো ছুঁই ছুঁই। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতায় ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষায় তাই কঠিন পথ। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের পরও ম্যাচের লাগাম সফরকারীদের হাতেই।
শনিবার আগের দিনের ৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে নেমে ২০৫ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারালেও আফগানিস্তানের বোর্ডে জমা হয়েছে ৫৬ রান। এরমধ্যে লিড হয়ে গেছে ১৯৩ রানের।
বলা হয় টেস্টের প্রথম ইনিংসই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। নাটকীয় কিছু না হলে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ঢেকে ফল নিজেদের পক্ষে আনা হয় দুষ্কর। ১৩৭ রানে পিছিয়ে থাকায় প্রথম ইনিংসেই চট্টগ্রাম টেস্টের নিয়ন্ত্রণ খুইয়ে বসা সাকিব আল হাসানের দল আছে বড় চ্যালেঞ্জের সামনে।
আগের দিন বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছিলেন অন্তত আরও ৭০ রান করে লিডটা কম রাখতে চান তারা। যদি প্রথম সেশনের পুরোটাই ব্যাট করা যায় তবে ফেরা যাবে ম্যাচে। কিন্তু বাকি দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ টিকতে পারেনি তিন ওভারও। যোগ করতে পারে মাত্র ১১ রান।
দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে নিবেদন দেখানো তাইজুল ইসলাম ফেরেন একদম শুরুতেই। মোহাম্মদ নবির বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এগারো নম্বরে নামা নাঈম হাসানও ব্যাট হাতে বেশ পটু। কিন্তু এবার সেই সামর্থ্য দেখাতে পারেননি। মাত্র ১২ বল টিকতে পেরেছেন। ৭ রান করা নাঈমকে ছেঁটে পঞ্চম উইকেট নেন রশিদ।
নিজেরা দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার পর বল হাতে ‘ম্যাজিকাল’ কিছু করার দরকার দাঁড়ায় বাংলাদেশের। একদম প্রথম ওভারে সাকিব দেন সেই ইঙ্গিত। জোড়া আঘাতে ৪ রানেই ফেলে দেন আফগানদের ২ উইকেট। যারমধ্যে আছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহও।
তৃতীয় উইকেটে ২৪ রানের ছোট একটি জুটি গড়ে ফের ধাক্কা খায় আফগানরা। এবার নাঈমের বাড়তি বাউন্সের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন হাসমতুল্লাহ শহিদি। দারুণ দক্ষতায় সেই ক্যাচ নেন সৌম্য। বাকিটা সময় পার করে দেন ইব্রাহিম জাদরান ও আসগর আফগান।
Comments