‘হারের খুব কাছাকাছি’, বললেন বৃষ্টির আশায় থাকা সাকিব

হাতে আছে মাত্র ৪ উইকেট। করতে হবে আরও ২৬২ রান। এই অবস্থায় আশার বেলুন উড়ানোর পথে গেলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সব সম্ভবের কথা বললেও স্পষ্ট করেই জানালেন তারা আছে বৃষ্টির প্রত্যাশায়। শেষ দিন যদি পুরোটা ভাসিয়ে নেয় বৃষ্টি, তবে যদি হার এড়ানো যায়!
Shakib Al Hasan
বৃষ্টি নামায় চতুর্থ দিনের খেলা আগেভাগে শেষ হয়েছে, ছাতায় মাথায় মাঠ ছাড়ছেন সাকিব ও সৌম্য। শেষ দিনেও এই বৃষ্টি চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

হাতে আছে মাত্র ৪ উইকেট। করতে হবে আরও ২৬২ রান। এই অবস্থায় আশার বেলুন উড়ানোর পথে গেলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সব সম্ভবের কথা বললেও স্পষ্ট করেই জানালেন তারা আছে বৃষ্টির প্রত্যাশায়। শেষ দিন যদি পুরোটা ভাসিয়ে নেয় বৃষ্টি, তবে যদি হার এড়ানো যায়!

আফগানিস্তানের রিষ্ট স্পিনারদের বিপক্ষে কাঁপাকাঁপি অবস্থা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও চরম বিপর্যস্ত দল। ৩৯৮ রানের রেকর্ড রান তাড়ায় নেমে বৃষ্টি বিঘ্নিত চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান করেছে বাংলাদেশ।

৩৯ রানে নিয়ে ক্রিজে আছেন অধিনায়ক সাকিব নিজে, ০ রানে তার সঙ্গী সৌম্য সরকার। এই অবস্থায় বাস্তবতা নিরিখে আসলে কি ভাবছে বাংলাদেশ? অধিনায়ক হাঁটলেন না কূটনৈতিক পথে, শোনালেন না অবাস্তব কোন আশা, ‘বাস্তবতা বিচারে তো আমরা এই ম্যাচ হারের খুব কাছাকাছি। একমাত্র বৃষ্টি আছে আর আল্লাহ যদি স্বয়ং আমাদের দুইজন প্লেয়ারের ওপর না পড়েন (হাসি), তাহলে হারার সম্ভাবনাটাই খুব বেশি।’

খাতায় কলমে সম্ভাবনা যেহেতু আছে সাকিব হিসেব করেই জানালেন কাজটা কতটা কঠিন,  ‘রান কত দরকার? ২৭০(আসলে ২৬২)।  দুইজনের একশো একশো করতে হবে। একশো একশোও না। একজনের ১২০ আরেকজনের ১৫০ করা লাগবে। (হাসি)। দুনিয়াতে কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক না কি হয়। আরেকটা আছে বৃষ্টি উপরে, ওটাও আমাদের বাঁচাতে পারে। বেশ কয়েকটা পথ আছে। এখন বাকিটা দেখা যাক।’

প্রসঙ্গক্রমে উঠে এল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল। যেখানে সাকিব আর মাহমুদউল্লাহর অবিশ্বাস্য এক জুটিতে জিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেটা ছিল ওয়ানডে আর এটা টেস্ট। সব কিছুতেই আকাশ পাতাল তফাত। সাকিব বোঝালেন সেটাও করা যাবে তবে তার জন্য পার হতে হবে কতটা কঠিন পথ, ‘কার্ডিফ ফিরতে অন্য পাশে থাকা লাগবে একজন। দুইজনেরই করা লাগবে। আমি যদি ১৭০ করি ওর অন্তত ১২০ তো করা লাগবে। তারপর আমরা জিততে পারব। কিংবা আমার ১৫০ আর ওর ১২০ করা লাগবে। অসম্ভব না কিন্তু অনেক কঠিন কাজটা।’

তাহলে এই টেস্ট থেকে আর বাংলাদেশের পাওয়ার কি থাকবে? অধিনায়ক এখানেই দেখছেন বাস্তবের কিছু ছবি। হারলেও যদি কিছু লড়াই করা যায়, আগামী সময়ের জন্য যদি কিছু জ্বালানি অর্জন করা যায় সেই চেষ্টাই করতে চান তারা,  ‘এখানেও আসলে একটা চ্যালেঞ্জ থেকে যায়। আমরা যে ৪ জন বাকি আছি, তারা যদি কিছু একটা করে দেখাতে পারি। বা কিছু করতে না পারলেও, লড়াই করার যে মানসিকতা, আমরা যে এতদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি, অন্তত ঘরের মাঠে ভালো কিছু করেছি, তার যে একটা প্রমাণ অন্তত আমরা রেখে যেতে পারি। হয়তো হারতে পারি, তবে ঐ যে লড়াই করার যে একটা ছাপ, সেটা যেনো আমরা দেখাতে পারি।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago