জয়রথ ধরে রেখেছে ইতালি-স্পেন
উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাই পর্বে জয়রথ অব্যাহত রয়েছে স্পেন ও ইতালির। দুই দলই টানা ষষ্ঠ ম্যাচ জিতেছে ইউরোর বাছাই পর্বে। ফারো আইল্যান্ডসকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে তিনবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন। তবে কিছুটা কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ইতালি। ফিনল্যান্ডকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ১৯৬৮ সালে প্রথম ও সর্বশেষ ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ইতালি।
‘এফ’ গ্রুপে সবকটি ম্যাচ জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল স্পেন। ১১ পয়েন্ট তাদের পরেই অবস্থান করছে সুইডেন। 'জে' গ্রুপে ইতালিও জিতেছে সবকটি ম্যাচ। তাদেরও পয়েন্ট ১৮। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফিনল্যান্ডের পয়েন্ট ১২।
ঘরের মাঠে খেলতে নেমে এদিন নতুন রেকর্ড গড়েছেন স্প্যানিশ অধিনায়ক সের্জিও রামোস। স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন তার। এর আগে ১৬৭ ম্যাচ খেলা ইকের ক্যাসিয়াস এ রেকর্ডটির মালিক ছিলেন।
আগের রাতে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেই খেলে স্পেন। ম্যাচের ১৩তম মিনিটে রদ্রিগোর গোলে এগিয়েও যায় দলটি। তবে গোলের মূল কারিগর ছিলেন মিকেল ওয়ারজাবাল। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দেওয়া নিখুঁত পাস থেকে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো। তবে দ্বিতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৫০ মিনিট পর্যন্ত। থিয়াগো আলকান্তারার পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে শট নেন রদ্রিগো। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায় বল।
দুই গোলে এগিয়ে থাকা দলটি ম্যাচের শেষ তিন মিনিটে আরও দুটি গোল পায়। দুটি গোলই করেন বদলী খেলোয়াড় পাকো আলকাসের। ৮৯তম মিনিটে আলকান্তারার পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন। যোগ করা সময়ে হোসে গায়ার ক্রস থেকে হেডে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড।
অপর ম্যাচে ইতালি ও ফিনল্যান্ড দুই দলই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলতে থাকে। শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও ছিল ফিনল্যান্ডের। তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল ইতালিও। কিন্তু প্রথমার্ধের পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি তারাও। তাই গোলশূন্যভাবে শেষ বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ১৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় ইতালি। দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন সিরো ইমোবিল। তবে ৭২তম মিনিটে সমতায় ফেরে ফিনল্যান্ড। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন টিমু পাক্কি। তাকে ডি-বক্সের মধ্যে স্তেফানো সেনসি ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
মিনিট সাত পর আবার এগিয়ে যায় ইতালি। জর্জিনহোর সফল স্পট কিকে গোল পায় দলটি। ডি-বক্সে সাউলি ভাইসেনেনের হাতে বল লাগলে পেনাল্টিটি পায় আজ্জুরিরা। এরপর আর গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইতালি।
Comments