নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হৃদয় ওরফে গিট্টু হৃদয় (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। র্যাব বলেছে, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, গুলিসহ বিদেশি পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাবের ভাষ্য, বুধবার ভোরে উপজেলার চেংরাকান্দি এলাকায় নিহত হৃদয় জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি।
পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় র্যাব। নিহত হৃদয় সোনারগাঁও উপজেলার হাবিবপুর এলাকার মৃত সবুজ মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১১ এর উপ অধিনায়ক এবং ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, একটি মাদকের চালান ঢাকায় প্রবেশ করবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর পৌনে ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চেংরাকান্দি এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করা হয়। এসময় সময় একটি প্রাইভেটকারকে সিগন্যাল দিলেও না থামিয়ে গাড়ির জানালা খুলে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে কয়েকজন গাড়ি থেকে নেমে গুলি করতে থাকে। গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে তিনজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করে। আর গাড়ির কাছে গিয়ে দেখা যায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। পরে আটককৃতরা গুলিবিদ্ধকে মাদক ব্যবসায়ী গিট্টু হৃদয় বলে পরিচয় শনাক্ত করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ রাউন্ড গুলিসহ ৭ দশমিক ৬৫ এমএম বিদেশি পিস্তল, ১টি চাপাতি, গাড়ির পিছন থেকে ৪টি বগি দা উদ্ধার ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়। পরে র্যাব হৃদয়কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত্য ঘোষণা করে।
আটককৃতরা হলেন, গাড়ি চালক কামাল হোসেন (৩০), ডলার (২৮) ও সেলিম (৩২)।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় র্যাবের সৈনিক সৌরভ রায় ও কনস্টেবল ওবায়দুলের শরীরে গুলি লাগে। তবে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট থাকায় গুরুতর আহত হননি। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব বলেন, নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান হৃদয় ওরফে গিট্টু হৃদয়ের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি সহ ১৫ থেকে ২০টি মামলা রয়েছে। সে জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ছিল। তাকে ধরিয়ে দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
Comments