ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষেও নেই মেসি, অনিশ্চিত সুয়ারেজও

দলের প্রাণ ভোমরা অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ছাড়ার লালিগায় শেষ ১১ বছরে মধ্যে সবচেয়ে বাজে শুরু করেছে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। প্রথম তিন ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ৪। পরের ম্যাচেও কঠিন পরীক্ষায় পড়তে যাচ্ছে দলটি। কারণ লালিগার অন্যতম শক্তিশালী দল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষেও মেসিকে পাচ্ছে না তারা। এমনকি সে ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা নেই লুইস সুয়ারেজেরও।
ছবি: বার্সেলোনা

দলের প্রাণ ভোমরা অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ছাড়ার লালিগায় শেষ ১১ বছরে মধ্যে সবচেয়ে বাজে শুরু করেছে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। প্রথম তিন ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ৪। পরের ম্যাচেও কঠিন পরীক্ষায় পড়তে যাচ্ছে দলটি। কারণ লালিগার অন্যতম শক্তিশালী দল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষেও মেসিকে পাচ্ছে না তারা। এমনকি সে ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা নেই লুইস সুয়ারেজেরও।

শুরুতে ভাবা হয়েছিল মেসির চোট বড় কিছু নয়। অল্প কিছুদিন বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাবে। সে অনুযায়ী দিন পাঁচেকের বিশ্রাম নিয়ে জিমে অনুশীলন শুরু করেন বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এরপর ১০ দিন পর তো মাঠে পূর্ণোদ্যমে অনুশীলনও শুরু করেন। কিন্তু পরে জানা যায় আরও বেশ কিছুদিন লাগবে সম্পূর্ণ ফিট হতে। তবে আন্তর্জাতিক বিরতির পর মাঠে নামতে পারেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএস জানিয়েছে পরবর্তী ম্যাচেও তাকে পাচ্ছে না স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মেসির খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনার চিকিৎসকরা। অনুশীলনে এখনও অস্বস্তি বোধ করছেন অধিনায়ক। আর তাকে নিয়ে কোন ধরণের ঝুঁকি নিতে রাজী নন কোচ এরনেস্তো ভালভার্দেও। গত মৌসুমের অভিজ্ঞতা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। উড়তে থাকা মেসি মৌসুমের মাঝ পথে হঠাৎ ইনজুরিতে পড়েন। পরে তাড়াহুড়ো করে কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামেন এ আর্জেন্টাইন। পুরো ছন্দহীন না থাকলেও আগের সেই দুর্দান্ত মেসিকে পাওয়া যায়নি। 

দলে শুধু মেসিই নন, ইনজুরিতে আছেন লুইস সুয়ারেজ ও উসমান দেম্বেলেও। দেম্বেলেতো পাঁচ সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন। সুয়ারেজকেও পাওয়া সম্ভব হবে না বলেই জানিয়েছে এএস। আতোঁয়া গ্রিজমান ছাড়া ফরোয়ার্ড লাইনে নেই বলার মতো কোন তারকা। তাই দলের সেরা তারকার লম্বা ইনজুরি দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ভালভার্দের কপালে।

গ্রীষ্মের ছুটি কাটিয়ে গত ৫ আগস্ট অনুশীলনে যোগ দেন মেসি। প্রথম দিনেই ডান পায়ের কাফ মাসেলে টান লাগে তার। যদিও কিছুটা চোট আগে থেকেই ভোগাচ্ছিল তাকে। অনুশীলনের এক পর্যায়ে অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন মেসি। পরে ডান পায়ের পরীক্ষা করা হয়। সেখানে গ্রেড ওয়ান মাত্রার চোট ধরা পড়ে। এ ধরণের চোট সাড়তে সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগে। তবে দুর্ভাগ্য মেসির। এখনও প্রত্যাশা অনুযায়ী ইনজুরির উন্নতি হয়নি।

Comments