গণভবনে প্রবেশাধিকার হারিয়ে চাপে শোভন-রব্বানী

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢোকার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর যে বিশেষ পাস ছিল তা বাতিল করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢোকার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর যে বিশেষ পাস ছিল তা বাতিল করা হয়েছে।

গণভবন সূত্রগুলো থেকে পাস বাতিল হওয়ার খবরটি নিশ্চিত হওয়ায় গেছে। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনটির এই দুই নেতাকে এখন গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হলে অস্থায়ী পাস সংগ্রহ করতে হবে। অস্থায়ী এই পাসের মেয়াদ থাকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা।

বিশেষ পাস বাতিলের ব্যাপারে ছাত্রলীগের দুই নেতার কাছে জানতে চাওয়া হলে দ্য ডেইলি স্টারকে তারা বলেন যে এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না।

সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের গণভবনে যাতায়াতের জন্য বিশেষ পাস দেওয়া হয়। সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদেরও এধরনের পাসের পাশাপাশি মৌখিক নির্দেশ দেওয়া থাকে যেন তারা দলের সভাপতির সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারেন।

শোভন ও রব্বানীর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে গত শনিবার গণভবনে এক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দুজনকে নিয়ে সেদিন উপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতাও নেতিবাচক মন্তব্য করেন। গণভবনে গিয়েও সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে আসতে হয়েছিল।

ওই বৈঠকের তিন দিন পর ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিশেষ পাস বাতিল করা হয়।

গত বছরের ৩১ জুলাই শোভন ও রব্বানীকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করার প্রায় এক বছর পর ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর পদ বঞ্চিতরা নানা অভিযোগ তুলেছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই চাপে ছিলেন এই দুজন।

সর্বশেষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে নিজের কক্ষে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

এই অবস্থায় আগাম কাউন্সিলের সম্ভাবনা নিয়েও ছাত্রলীগের মধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। এব্যাপারে বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এখন যদি ছাত্রলীগের এই কমিটির ব্যাপারে নতুন কোনো বিবেচনা আসে, সংযোজন বা পরিবর্তনের কোনো প্রশ্ন আসে, আমি মনে করি নেত্রী নিজেই করতে পারেন। যেহেতু কমিটিটা তিনিই করেছেন।” ছাত্রলীগের আগাম সম্মেলনের বিষয়েও তিনি কোনো সিদ্ধান্ত পাননি বলে সাংবাদিকদের জানান।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago