নিজেদের পিছিয়ে রাখছে না জিম্বাবুয়েও

Hemilton Masakadza

গত প্রায় এক বছর থেকে টি-টোয়েন্টি খেলার মধ্যে নেই জিম্বাবুয়ে। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের হস্তক্ষেপের পর থেকে আইসিসির টুর্নামেন্টেও নিষিদ্ধ হয়ে আছে দেশটি। খেলোয়াড়রা আছেন বেতন-ভাতা নিয়ে সংকটে। দলের শক্তি, সাম্প্রতিক ফর্ম কোন কিছুই পক্ষে নেই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাদের। কিন্তু ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ, আফগানিস্তানকে শক্ত প্রতিপক্ষ মানলেও নিজেদের একদম পিছিয়ে রাখতে রাজী নয় তারা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে। অনেকদিন থেকে খেলার মধ্যে না থাকার প্রভাব র‍্যাঙ্কিংয়েও পড়েছে। টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ে আছে ১৪ নম্বরে। তাদের ৭ ধাপ উপরে আফগানিস্তানের অবস্থান সাতে। আর বাংলাদেশ আছে ১০ নম্বরে।

কিন্তু জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এসব হিসেব মাথায় আনছেন না, নিজেদের একটু পিছিয়েও রাখতে রাজি নন তিনি, ‘দুটি দলই খুবই শক্তিশালী। আফগানিস্তান দারুণ টি টোয়েন্টি খেলছে। আর  বাংলাদেশ খেলবে ঘরের মাটিতে। আমি বলব দুটো দলই শক্তিশালী। টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদেরও সাফল্য আছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশে আমরা বেশ ভাল টি টোয়েন্টি খেলেছি। অতএব আমার মনে হয় না যে আমরা অনেক পিছিয়ে থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করবো।’

ঘন ঘন সফর করতে আসায় বাংলাদেশের কন্ডিশন ভীষণ চেনা জিম্বাবুয়ের। বুধবারেই যেমন দেখা গেছে তার প্রমাণ। বাংলাদেশে এসে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মাসাকাদজারা। তাতে মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমানদের নিয়ে গড়া বিসিবি একাদশকে অনায়াসে হারিয়েছে তারা। তা থেকেও আত্মবিশ্বাস নিতে চাইছে তারা, ‘আমরা এখানে বেশ কয়েকটি টি টোয়েন্টি খেলেছি। আমরা কন্ডিশন সম্পর্কেও জানি। অতএব আমরা পিছিয়ে থেকে শুরু করছি না। প্রস্তুতি ম্যাচটা ভালই গিয়েছে। সব ঠিকভাবে এগুচ্ছে। যদিও মূল ম্যাচটি হবে ভিন্ন।’

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ ভালো রেকর্ড জিম্বাবুয়ের। দুই দলের ৯ দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচবার, জিম্বাবুয়ে চারবার। সর্বশেষ বাংলাদেশে চার টি-টোয়েন্টির সিরিজ ড্র করে ফিরেছিল তারা।

তবে আফগানদের বিপক্ষে মারকাটারি ক্রিকেটে এখনো সুবিধা করতে পারেনি নানান পালাবদলে বিপর্যস্ত মাসকাদজারা। রশিদ খানদের সঙ্গে সাতবারের দেখায় প্রতিটিতেই হেরেছে জিম্বাবুয়ে।

ক্রিকেট বোর্ডের সংকট, প্রশাসনিক নানান জটিলতায় আছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। তবে মাসাকাদজা আপাতত এসব দিকে নজর দিতে চান না, ‘অবশ্যই অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। এটা পর্দার আড়ালের ঘটনা। কিন্তু দেখেন ক্রিকেটটাই আমাদের পেশা। মাঠে সেরা খেলাটিই আমাদের কাজ। আমার জেনে দরকার নেই ওখানে কি হয়েছে। আমাদের প্রধান কাজ ক্রিকেট খেলা। এবং সেটা ভেবেই আগামী কাল থেকে দেশের জন্য আমাদের কাজটি শুরু করতে চাইছি।’

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

11h ago