শেষের শুরুতে মাসাকাদজার স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম

প্রথমবার যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, তখন তিনি ছিলেন জিম্বাবুয়ের স্বর্ণালী সময়ের শেষ প্রতিনিধি। কাকতালীয়ভাবে সেটা ছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ ক্রিকেট সিরিজও। দেড় যুগ পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা ছাড়ছেন এই বাংলাদেশেই। আর বাংলাদেশে এসে এবার একটু আবেগি হয়ে পড়লেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক। বন্ধবন্ধু স্টেডিয়ামকে মনে করলেন। তার মতে, পৃথিবীর অন্যতম সেরা উইকেট ছিল সে স্টেডিয়ামেই।
Hemilton Masakadza
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথমবার যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, তখন তিনি ছিলেন জিম্বাবুয়ের স্বর্ণালী সময়ের শেষ প্রতিনিধি। কাকতালীয়ভাবে সেটা ছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ ক্রিকেট সিরিজও। দেড় যুগ পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা ছাড়ছেন এই বাংলাদেশেই। আর বাংলাদেশে এসে এবার একটু আবেগি হয়ে পড়লেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক। বন্ধবন্ধু স্টেডিয়ামকে মনে করলেন। তার মতে, পৃথিবীর অন্যতম সেরা উইকেট ছিল সে স্টেডিয়ামেই।

বাংলাদেশের মাটিতে আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই ক্রিকেট জীবনের ইতি টানছেন মাসাকাদজা। জাতীয় দলের জার্সিতেই এ নিয়ে নয়বার বাংলাদেশে আসলেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে তো এসেছেন বহুবার। খেলেছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ার প্রায় সব ভেন্যুতে। খেলেছেন বিশ্বের অনেক দেশের অনেক ভেন্যুতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের স্মৃতিটা আলাদা করেই মনে রেখেছেন তিনি, 'আমরা তখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলেছিলাম। সবচেয়ে যে ব্যাপারটি আমার মনে পড়ে, উইকেট ছিল অনেক ফ্ল্যাট এবং পৃথিবীর যে কোনো জায়গার চেয়ে এটা ব্যাটিং করার জন্য সেরা উইকেট ছিল।'

২০০৫ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন মাসাকাদজা। সে সিরিজে আসার আগে বর্ণবাদ নিয়ে নানা ঘটনায় আন্দোলন করে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ছেড়ে দেন সেরা সেরা ক্রিকেটাররা। তবে থেকে যান মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের সোনালী সময় শেষ যেন হয় তখনই। সেবার বাংলাদেশে এসে হুট করেই তারা আন্ডারডগ। অথচ এর অল্প কিছু দিন আগেও তারা বলে-কয়ে হারাত বাংলাদেশকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের যে কোনো দলকেই হারাতে পারত তারা।

শুরুর মতো শেষের সময়টাও প্রায় একই রকম। দেড় যুগের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিজের ক্রিকেট জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই দেখেছেন। দেখেছেন দেশের ক্রিকেটের উত্থান-পতনও। এবার যখন মাসাকাদজা বাংলাদেশে আসলেন, তার আগে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট প্রায় নির্বাসনে। ক্রিকেট বোর্ডের উপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসি তো নিষেধাজ্ঞাই জারি করেছে। দেশের ক্রিকেটটাই নির্বাসনে চলে যাওয়ার দশা। তবে এর সবটুকুই উপভোগ করেছেন মাসাকাদজা, 'অনেক লম্বা সাফল্যময় একটা ক্যারিয়ার। অবশ্যই এখানে উত্থান-পতন ছিল। কিন্তু আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আমি এটা ধরে রেখেছি... দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার ওইসব দিনগুলো সত্যিই মনে রাখার মতো। যদি আমাকে আর একটা সুযোগ দেওয়া হতো পুনরায় আবার শুরু করতে, আমি অবশ্যই সে সুযোগ লুফে নিতাম।'

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আরও বর্ণময় হতে পারত মাসাকাদজার। অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছেন। অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানই ছিলেন তখন তিনি। পরে সে রেকর্ড ভেঙেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। জিম্বাবুয়ের সোনালী সময়ের অংশ ছিলেন মাসাকাদজা। কিন্তু সে সময়ে হঠাৎ ক্রিকেটটা ছেড়ে দেন। এরপর প্রায় চার বছর পর আবার ফিরে আসেন। এবার অবশ্য পুরোপুরি ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago