স্মিথের সামনে রিচার্ডস-ব্র্যাডম্যানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি

steve smith
স্টিভ স্মিথ। ছবি: এএফপি

টেস্ট আঙিনায় প্রত্যাবর্তনে জোড়া সেঞ্চুরি। এরপর অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছেন স্টিভ স্মিথ। মাঝে আবার একটি টেস্টে খেলতে পারেননি চোটের কারণে। তাতে কি! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের তিন টেস্টের পাঁচ ইনিংসে এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের সংগ্রহটা বিস্ময় জাগানিয়া- ৬৭১ রান। স্মিথের এমন দুরন্ত ফর্মই ক্রিকেটের রেকর্ড বই আরেকবার এলোমেলো করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ওভালে অ্যাশেজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে মাঠে নেমেছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন অসি অধিনায়ক টিম পেইন। এই টেস্টেও স্মিথ যদি রানবন্যা বইয়ে দেন, তবে স্যার ভিভ রিচার্ডস ও স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের গড়া রেকর্ডও ভাঙা পড়তে পারে। এর মধ্যে প্রয়াত অসি কিংবদন্তি ব্র্যাডম্যানের কীর্তিটা আবার ৮৯ বছরের পুরনো!

প্রথমে আসা যাক ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা রিচার্ডসের রেকর্ডে। চার টেস্টের সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তিনি। রেকর্ডটা টিকে আছে ৪৩ বছর ধরে। ১৯৭৬ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে চার ম্যাচের সাত ইনিংসে ১১৮.৪২ গড়ে ৮২৯ রান করেছিলেন ডানহাতি রিচার্ডস। সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনটি, হাফসেঞ্চুরি দুটি।

ক্যারিবিয়ান মহাতারকাকে টপকে যেতে ওভালে স্মিথকে করতে হবে মাত্র ১৫৯ রান। মাত্রই বটে! কেননা চলমান অ্যাশেজে ১৩৪.২০ গড়ে রান করেছেন ৩০ বছর বয়সী স্মিথ। কাকতালীয় ব্যাপার হলো, রিচার্ডস উইজডেন ট্রফিতে ওই কীর্তি গড়েছিলেন, যা ছিল পাঁচ টেস্টের সিরিজ, আর তিনিও স্মিথের মতো একটি টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি অসুস্থতাজনিত কারণে।

তবে ব্র্যাডম্যানের কৃতিত্বকে ছাপিয়ে যাওয়াটা বেশ কঠিনই হবে স্মিথের জন্য। কোনো একক টেস্ট সিরিজে (ম্যাচের সংখ্যা যা-ই হোক না কেন) সবচেয়ে বেশি ৯৭৪ রান নিয়ে রেকর্ডের চূড়ায় রয়েছেন ব্র্যাডম্যান। ১৯৩০ সালে অ্যাশেজেই পাঁচ ম্যাচের সাত ইনিংসে ১৩৯.১৪ গড়ে ওই রান করেছিলেন তিনি। তাকে পেছনে ফেলতে ওভালে স্মিথের চাই ৩০৪ রান। আপাতদৃষ্টিতে কাজটা অসম্ভব ঠেকলেও স্মিথের ফর্ম বলছে, সম্ভব!

ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সবশেষ টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে স্মিথ ২৯৩ রান তুলেছিলেন। তার আগে অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচে বার্মিংহামের এজবাস্টনে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২৮৬ রান। ওভালেও যদি ইংলিশ বোলারদের সামলে নিয়ে উইকেটে গেঁথে যান স্মিথ, তবে নতুন ইতিহাস লিখতেও হতে পারে!

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

17h ago