পর্যবেক্ষক থেকে এবার নির্দেশকের ভূমিকা নিচ্ছেন ডমিঙ্গো?
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসেবে রাসেল ডমিঙ্গো দায়িত্ব নেন ১৭ অগাস্ট। সব কিছু বুঝে উঠার আগে কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে নামতে হয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে। স্বভাবতয়ই ডমিঙ্গো এতদিন ছিলেন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। তবে সেই ভূমিকা থেকে এবার নিজের আসল ভূমিকায় ধীরে ধীরে নামতে যাচ্ছেন তিনি।
চট্টগ্রাম টেস্টের পুরোটা সময়ই পর্যবেক্ষক হয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেছেন ডমিঙ্গো। খেলার সময়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পরিকল্পনা আর কৌশলে সায় দিয়েই সেরেছেন দায়িত্ব।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ডান-বাম কম্বিনেশন হিসেবে করে ব্যাটিং অর্ডারে বড় উলট পালট করে বাংলাদেশ। দিনশেষে তা কাজে না লাগায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সাকিবকে।
পেসারবিহীন একাদশ বানানো, ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল সবই হয়েছে অধিনায়কের পরিকল্পনায়। তবে অধিনায়কের চিন্তার সঙ্গে যৌক্তিক কারণেই একমত হওয়ার কথা জানান বাংলাদেশের কোচ, ‘হ্যাঁ অধিনায়ক আমার সঙ্গে কথা বলেছে (ব্যাটিং অর্ডারে বদল নিয়ে)। সে পরামর্শ নিয়ে এসেছিল। আমার থেকে সে খেলোয়াড়দের অনেক ভালো জানে। কাজেই সে পরামর্শ নিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। আর যেহেতু আমি কম চিনি (খেলোয়াড়দের) তাকে শতভাগ সমর্থন করা খুব স্বাভাবিক।’
ডমিঙ্গো এসব বিষয়ে নির্দ্বিধায় সাকিবের উপর আস্থা রাখলেও নিজের দায়িত্ব মাথায় নিয়ে দিতে শুরু করেছেন নিজের মতও, ‘যতক্ষণ আপনি ক্রিকেট কোচ, আপনি চুপ করে থাকবেন এটা হয় না। আমিও কিছু মত দেওয়ার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি কাদের কোথায় উন্নতি দরকার সেটা দেখিয়ে দেওয়ার। নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে কথা বলেছি।
বাংলাদেশের নতুন কোচ জানালেন খেলোয়াড়দের চিনতে, জানতেই আপাতত বেশি সময় নষ্ট হচ্ছে তার। তবে সবাইকে সামলে নিতে পারলে ঘাটতির জায়গাগুলো খুঁজে বের করা কঠিন হবে না তার জন্য, ‘কিছুক্ষণ আগে আমি তিনজনের সঙ্গে পরিচিত হয়ে এলাম। মিশু, আফিফ আর আরেকজন (মেহেদী) যাদের আগে আমি দেখিনি। মাত্র ১০ মিনিট আগে যাদের চিনেছি তাদের সম্পর্কে জানা এখনি কঠিন। এরকম চ্যালেঞ্জ আমি মোকাবেলা করছি। তারা কঠোর পরিশ্রম করছে ভালো করার। যদিও টেস্টে ভাল করেনি , তবু তাদের নিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি। বেশ কিছু তরুণ আর অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের মিশেল আছে দলে। তাদের যদি ঠিকভাবে ম্যানেজ করা যায় তাহলে খামতিটা কোথায় বের করা যাবে।’
Comments