অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল বলের ক্রিকেটকে ওয়াহাবের ‘না’

লাল বলের ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। মূলত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগী হতে দীর্ঘ পরিসরের ফরম্যাট থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে নিজের সিদ্ধান্তের কথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন এই বাঁহাতি।
wahab riaz
ওয়াহাব রিয়াজ। ছবি: এএফপি

লাল বলের ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। মূলত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগী হতে দীর্ঘ পরিসরের ফরম্যাট থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে নিজের সিদ্ধান্তের কথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন এই বাঁহাতি।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ৩৪ বছর বয়সী ওয়াহাব জানান, ‘লাল বলের ক্রিকেটে আমার বিগত কয়েক বছরের পারফরম্যান্স এবং আসন্ন সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সূচি পর্যালোচনা করার পর আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ৫০ ও ২০ ওভারের ক্রিকেটে মনোযোগী হতে চাই এবং দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের জন্য নিজের ফিটনেস বাড়াতে চাই।’

এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, আপাতত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ‘না’ খেলতে মনস্থির করেছেন ওয়াহাব। এরই মধ্যে পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা কায়েদ-ই-আযম ট্রফি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অংশ ‘না’ নেওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের জার্সিতে টেস্ট ম্যাচও খেলবেন না তিনি।

২০১০ সালে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ওয়াহাবের। কখনোই পুরোদমে এই ফরম্যাটে টানা খেলেননি তিনি। তার নামের পাশে ২৭টি টেস্ট ম্যাচ সেই স্বাক্ষরই বহন করে। ২০১৭ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছেন ওয়াহাব। শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন প্রায় এক বছর আগে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

ওয়াহাবের লাল বলের ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্তটা ঠিক অবসরে যাওয়া বোঝাচ্ছে না। কারণ, ভবিষ্যতে টেস্টে ফেরার সম্ভাবনা বাতিল করে দেননি তিনি। তবে ওয়াহাব শর্ত জুড়ে দিয়েছেন- যদি কখনও অনুভব করেন যে, লাল বলেও ভালো পারফর্ম করতে পারবেন, তবেই ফের ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফরম্যাটে ফিরে আসবেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago