ম্যাচ শেষে ঝড় তোলা বার্লের কাছে ছুটে যান সাকিব
আগের তিন ওভারে দারুণ আঁটসাঁট বল করেছিলেন সাকিব আল হাসান। দিয়েছিলেন কেবল ১৯ রান। শেষ ওভারে এসে পুরো বদলে যায় তার বোলিং ফিগার। তিনটি করে ছক্কা আর চার সাকিবকে পিটিয়ে ৩০ রান নিয়ে নেন রায়ান বার্ল। প্রায় অচেনা এই অলরাউন্ডারের সঙ্গে ম্যাচ শেষে আলাপ করেছেন সাকিব, দিয়েছেন উৎসাহ।
বিশ্ব ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান বড় এক নাম। জিম্বাবুয়ের হয়ে কেবলই ক্যারিয়ার শুরু করা বার্লকে চেনেননি তেমন কেউই। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একদম অখ্যাত থেকে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি এই লেগ স্পিনার। দলের চরম বিপদে নেমে খেলেন ৩২ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। যার মধ্যে সাকিবের এক ওভারেই নিয়েছেন ৩০ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বহু বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে বল করা সাকিব এতটা খরুচে ওভার আর করেননি কখনো। ইনিংসের ১৬তম ওভারে তিনটি করে ছক্কা আর চারে সাকিবকে তেতো অভিজ্ঞতা দেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডার জানালেন, শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব ম্যাচ শেষে নিজে এগিয়ে এসে তার সঙ্গে আলাপ জমিয়েছেন, ‘সে ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণের সময় আমার কাছে এসেছিল। কথা বলেছে, অভিনন্দন জানিয়েছে, উৎসাহ জুগিয়েছে। সাকিবের মতো খেলোয়াড়ের প্রশংসা পাওয়া সত্যি ভীষণ ভালো।’
ব্যাটিংয়ে ৫৭ রানের পর বল হাতে ১ উইকেট নিয়েছিলেন বার্ল। ফিল্ডিংয়ে নেন চোখ ধাঁধানো এক ক্যাচ। নিজেকে এমন মেলে ধরেও দলকে জেতাতে পারেননি। এই আক্ষেপেই পুড়ছেন তিনি, ‘আমি খুব হতাশ কারণ দল আগে। আমরা কিছু ফিল্ডিং মিস করেছি, যা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে যায়।’
৬০ রানে বাংলাদেশের ৬ উইকেট ফেলে দিয়েও ম্যাচটা জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। আর এজন্য বার্ল কৃতিত্বের পুরোটাই দিচ্ছেন ম্যাচ সেরা তরুণ আফিফ হোসেনকে, ‘দারুণ ইনিংস ছিল এটা। ৬০ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর এলো এবং ম্যাচ জিতিয়ে দিল। টি-টোয়েন্টিতে নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এক ওভারেই খেলা ঘুরে যায়। আজ আমরা দেখলাম আফিফ খেলা ঘুরিয়ে দিল।’
Comments