সাকিব না চাইলে তরুণ কেউ কেন নয়? প্রশ্ন সুজনের

Khaled Mahmud-Shakib Al Hasan
কুমিল্লার বিপক্ষে বড় ম্যাচের আগে পরিকল্পনায় ব্যস্ত ঢাকা ডায়নামাইটস কোচ খালেদ মাহমুদ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।ছবি: ফিরোজ আহমেদ

অধিনায়কত্বে আগ্রহ নেই সাকিব আল হাসানের। মুশফিকুর রহিম তো কদিন আগে জানিয়েছেন কখনোই আর অধিনায়ক হবেন না। শ্রীলঙ্কায় তামিম ইকবালের হাতে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়ে সুফল মিলেনি। আর সেরা সময় হারিয়ে নিজেকে খুঁজছেন মাহমুদউল্লাহ। তাই বাংলাদেশ দলের পরবর্তী অধিনায়ক কে হবেন, এ নিয়েই দুশ্চিন্তা। তাই তরুণ কাউকেই অধিনায়ক নির্বাচন করার পক্ষে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।

যে কোন সংস্করণেই দেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব। তার উপর অভিজ্ঞও বটে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সব রশদই রয়েছে তার। আর ক্রিকেটের প্রাণ টেস্টে তো আরও বেশি দরকার তার মতো খেলোয়াড়ের। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্ট শেষেই নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতি অনীহার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে দেশের ক্রিকেটে নানা আলোচনা-সমালোচনাও চলছে। কিন্তু নিজের কথার যুক্তিও দিয়েছিলেন তিনি। অধিনায়কত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব না থাকলে পারফর্ম করতে সুবিধা হয় তার।

সাকিবের এ যুক্তিকে ইতিবাচকই মনে করছেন সুজন, 'সাকিব আমাদের একজন সেরা অধিনায়কের একজন। তার ক্রিকেট মেধা নিয়ে কারও প্রশ্ন থাকার কথা না। সে যদি নিজে করতে না চায়, অধিনায়কত্ব যদি সে উপভোগ না করে, তাহলে তো অবশ্যই একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন থাকবে। সাকিব যেটা বলেছে, পারফরম্যান্সের জন্য আরও ভালো হবে যদি ও অধিনায়কত্ব না করে। আমরা তো চাই সাকিবের পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপে আমাদের এই পর্যন্ত আসার পেছনে আমি মনে করি সাকিবের একারই অবদান। টিকে থাকলেই সাকিব কিছু দিতে পারবে।'

সাকিব ছাড়া বিকল্প কেউ নেতৃত্ব নেওয়ার মতো নেই এমনটা উড়িয়ে দেন সুজন, 'আপনি বলতে পারেন আমাদের অধিনায়ক নাই। এই কথাটাও আমি বিশ্বাস করি না। আপনি কিভাবে জানেন আমাদের অধিনায়ক নাই? অধিনায়ক তো আপনি কাউকে দিয়ে দেখতে হবে সে থাকে কি না? জাতীয় দলে তো আরও ১১ জন খেলোয়াড় আছে। বিভিন্ন সংস্করণে তিনটা সংস্করণে জন্য চেষ্টা করেন। যদি সাকিব করতে না চায়, ও যদি ওর পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করতে চায়, অবশ্যই সেটা বিসিবিকে চিন্তা করতেই হবে।'

কিন্তু সাকিব না হলে কে হবেন অধিনায়ক? এমন প্রশ্নের তরুণদের সামনে তুল ধরেছেন সুজন। আর তার পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন দারুণ, 'আমার প্রশ্ন হলো মুশফিক, সাকিব যখন অধিনায়ক হলো তখন ওদের বয়স কত ছিল? ২২-২৩? আমাদের ২২-২৩ এ তো অনেক খেলোয়াড় আছে। কেন আমরা ভয় পাচ্ছি?'

সুজনের এমন কথাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে সে সময় সাকিব-মুশফিকদের মতো তারকা খেলোয়াড় সে সময় ছিল না। এমনকি অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দেরও ঘাটতি ছিল। কিন্তু এখন সময়টা ভিন্ন। এমন প্রশ্নে উল্টো প্রশ্ন করেছেন সুজন, 'তারা অধিনায়কত্ব চাইবেও না, কারো অধীনে খেলতে চাইবে না, তাহলে বাংলাদেশ দল চলবে কীভাবে?'

তরুণ নেতৃত্বে পক্ষে সুজন যুক্তিও দিয়েছেন জোরালো, 'আপনি যদি জানেন তিন চারজনই আছে অধিনায়কত্ব করার মতো। মুশফিক, সাকিব বা রিয়াদ। মাশরাফি একটা সংস্করণে করে, আর আছে তামিম। এরা যদি না করতে চায় তাহলে তরুণ কাউকেই দেখতে হবে... আমার মতে সাকিবরা যদি ২২ বছরে অধিনায়কত্ব করতে পারে, তাহলে ২২ বছরে আরও অনেক ছেলে আছে অধিনায়কত্ব করার মতো। আমরা দেখি না কারণ আমরা এক জায়গাতে আটকে আছি।'

'আর সাকিব তো সারাজীবন থাকবে না। অবসর নিবে। এখন সে যদি করতে না চায় আপনাকে নতুন কাউকে চেষ্টা করতে হবে। কেবল দেখতে হবে যাকে নিচ্ছি তার দলে জায়গা অবধারিত কিনা। মিরাজ খেলছে। বা টেস্টে সাদমান খেলছে। এটাও তো কথা না যে দুই টেস্ট খেলেছে বলে অধিনায়কত্ব করতে পারবেন না। আজকে আকবর আলি যে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে অধিনায়কত্ব করছে, যদি এতো সমস্যা হয় ওকে এনে অধিনায়কত্ব করান।' - যোগ করে আরও বলেছেন সুজন।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago