লাইভ আপডেট: আফগানদের বিপক্ষে আবারো হারল বাংলাদেশ
টেস্টে হারের ক্ষত এখনও শুকাইনি। এরমধ্যে আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের দেখা মিলেছে টাইগারদের। যদিও সংস্করণটি টি-টোয়েন্টি। তবে ব্যর্থতার বৃত্তেই রইল টাইগাররা। আফগানদের কাছে ২৫ রানে হেরেছে দলটি। তাদের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হারল বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বড় বিপদে পরে যায় বাংলাদেশ। ৩২ রানেই শেষ টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমান জুটি গড়ে স্বপ্ন জাগিয়েছিলেন। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই শেষ সে স্বপ্ন। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ।
তবে শেষ দিকে দর্শকদের কিছুটা বিনোদন দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। হার তখন নিশ্চিত। শেষ ওভারে দরকার ছিল যে ৪০ রানের। সে সময় ৩টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। যার একটি ছক্কা। যদিও আরও একটি হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৪/৬ (গুরবাজ ০, জাজাই ১, তারাকাই ১১, আসগর ৪০, নাজিবুল্লাহ ৫, নবি ৮৪*, গুলবদিন ০, করিম ৫*; সাইফুদ্দিন ৪/৩৩, সাকিব ২/১৮, মোস্তাফিজ ০/২৫, তাইজুল ০/৩২, সৌম্য ০/৩১, মোসাদ্দেক ০/১২, মাহমুদুল্লাহ ০/৩)।
বাংলাদেশ: ১৯. ৫ ওভারে ১৩৯ (লিটন ০, মুশফিক ৫, সাকিব ১৫, মাহমুদউল্লাহ ৪৪, সৌম্য ০, সাব্বির ২৪, আফিফ ১৫, মোসাদ্দেক ১২, সাইফুদ্দিন ২, তাইজুল ০*, মোস্তাফিজুর ১৫; মুজিব ৪/১৫, ফরিদ ১/৩৩, করিম ০/২৭, নবি ০/১১, রশিদ ২/২৩, গুলবদিন ২/২৭)।
ফলাফল: আফগানিস্তান ২৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ নবি (আফগানিস্তান)।
মোসাদ্দেকের বিদায়ে হারের পথে বাংলাদেশ
টাইগারদের শেষ আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আগের বলে দারুণ একটি চারও মেরেছিলেন। কিন্তু পরের বলেই বোল্ড হয়ে গেছেন রশিদ খানের গুগলি বুঝতে না পেরে। ১০ বলে ১টি চারের সাহায্যে ১২ রান করেছেন মোসাদ্দেক।
১৯ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১২৫ রান করেছে বাংলাদেশ। উইকেটে আছেন শেষ দুই ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টিকলেন না সাইফউদ্দিনও
রশিদ খানের বলে আউট হলেন সাইফউদ্দিন। তার বল আড়াআড়ি ব্যাট চালিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকভাবে সংযোগ করতে পারেননি। বল উঠে যায় আকাশে। সে ক্যাচ নিজেই ধরেছেন রশিদ। ৩ বলে ২ রান আসে সাইফের ব্যাট থেকে।
ফিরে গেলেন আফিফ
ফিরে গেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। আগের ম্যাচের মতো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে এ ম্যাচেও ভালো জুটি দেখায় আশায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হতাশ করেছেন আফিফ। গুলবাদিন নাইবের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে শট করেছিলেন তিনি। লংঅফে অবশ্য দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন নজিবুল্লাহ জাদরান। একেবারে সীমানায় দাঁড়িয়ে লাফিয়ে উঠে ক্যাচ লুফে নিয়েছেন তিনি। ১৪ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৬ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
১৮ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১২০ রান করেছে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক ৮ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন আফিফ
রশিদ খানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন এ ব্যাটসম্যান। রিপ্লেতে দেখা যায় প্যাডে লাগার আগে গ্লাভসে লেগেছিল বলটি। তবে তাতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে টাইগারদের। কারণ এ বলে ২টি রান নিয়েছিলেন তারা। আউট দেওয়ায় বাদ হয়ে যায় সে রান দুটো। শেষ পর্যন্ত দুটো পার্থক্য হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৪ রান। আফিফ ১৬ ও মসাদ্দেক ৫ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের দলীয় শতরান
অবশেষে দলীয় শতরান পার হয়েছে বাংলাদেশের। ১৫.৩ ওভারে (৯৪ বল) এসেছে টাইগারদের দলীয় শতক। তবে একশ রানের আগেই টপ অর্ডারের ছয় উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়েছে তারা। এ সময়ে দলের হাল ধরেছেন আগের জয়ের দুই নায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০৬ রান। আফিফ ১১ ও মোসাদ্দেক ৩ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশকে আবার বিপদে ফেললেন সাব্বির
আগের ওভারেই ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লক্ষ্য তাড়ায় আরেক সেট ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানের কাঁধে ছিল বড় দায়িত্ব। কিন্তু উল্টো দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়ে গিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। মুজিব উর রহমানের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন স্কয়ার লেগে। সহজ ক্যাচ ধরেছেন গুলবাদিন নাইব। ২৭ বলে ১টি চারের সাহায্যে ২৪ রান এসেছে সাব্বিরের ব্যাট থেকে।
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৯৭ রান। আফিফ ৫ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ভাঙল জুটি
চাপটা প্রায় কাটিয়ে উঠেছিলেন। সাব্বির রহমানের সঙ্গে দারুণ জুটিতে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু একটি বাজে শটেই শেষ হলো মাহমুদউল্লাহর প্রতিরোধ। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল পেছনে গিয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে স্লোয়ার বলটি পুল শট করতে গিয়েই গুলিয়ে ফেলেন। মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন নজিব তারাকাইয়ের হাতে। ভাঙে ৫৮ রানের জুটি। ৩৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৯৪ রান। ২৪ রানে ব্যাট করছেন সাব্বির রহমান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক আফিফ হোসেন।
মাহমুদউল্লাহ-সাব্বির জুটিতে পঞ্চাশ
দলীয় ৩২ রানে টপ অর্ডারের চার উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ দলের হাল সাব্বির রহমানকে নিয়ে ধরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। চাপ অনেকটাই সামলে নিয়েছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দারুণ জুটি গড়েছেন। পঞ্চম উইকেটে এর মধ্যেই জুটি পঞ্চাশ রান ছাড়িয়েছে। ৪৩ বলে এসেছে জুটির ফিফটি। তাতে মাহমুদউল্লাহর অবদান ৩১ রান। সাব্বির করেছেন ১৬ রান।
১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯০ রান। সাব্বির ২২ ও মাহমুদউল্লাহ ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন সাব্বির
রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন সাব্বির রহমান। আফগান অধিনায়কের বলে রিভার্স সুইপ করতে গেলে লাইন মিস করে ফাঁদে পড়েন। তবে এ যাত্রা বেঁচে গিয়েছেন রিভিউ নিয়ে। কারণ বল প্যাডে লাগার আগে গ্লাভসে হালকা চুমু খেয়ে যায়। এ সময় ৮ রানে ব্যাট করছিলেন সাব্বির।
১০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৫৯ রান করেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ২৭ ও সাব্বির ৯ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের দলীয় ফিফটি
৩২ রানে চার উইকেট হারিয়ে বড় চাপেই পড়েছে বাংলাদেশ দল। এরপর দলের হাল সাব্বির রহমানকে নিয়ে ধরেছেন মাহমুদউল্লাহ। এর মধ্যে দলের সংগ্রহ পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। ৮.৩ ওভারে এসেছে টাইগারদের দলীয় ফিফটি।
৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৫ রান। মাহমুদউল্লাহ ২৫ ও সাব্বির ৮ রানে ব্যাট করছেন।
সৌম্যর বিদায়, চাপে বাংলাদেশ
অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে বেশ বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিলেন মুজিব উর রহমান। একই ওভারে সৌম্য সরকারকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন এ স্পিনার। ফলে বড় বিপদেই পড়েছে বাংলাদেশ। মুজিবের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন সৌম্য। খালি হাতে ফিরেছেন এ ব্যাটসম্যান।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩২ রান। ১১ রানে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাব্বির রহমান।
টিকলেন না সাকিবও
দলীয় ১১ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। তাতে শুরুতেই চাপে টাইগাররা। এরপর তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দিকে তাকিয়ে ছিল দলটি। কিন্তু হতাশ করেছেন অধিনায়ক। ফিরে গেছেন ব্যক্তিগত ১৫ রানেই। মুজিব উর রহমানের বলে পিছিয়ে জায়গা করে হাঁকাতে গিয়েছিলেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে শূন্যে উঠে গেলে সে ক্যাচ সহজেই লুফে নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হলেন মুশফিক
আগের বলেই দারুণ একটি কভার ড্রাইভ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। পরের বলেই খেললেন বাজে এক শট। ফরিদ মালিকের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই স্কুপ করতে গেলেন। তাতেই বিপদ ডেকে আনেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান। ব্যাটের লাগায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফলে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ৩ বলে ১টি চারের সাহায্যে ৫ রান এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে।
২ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২ রান। ৬ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামা মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করছেন ১ রানে।
শুরুতেই ফিরলেন লিটন
মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণি ঠেকাতে ওপেনিংয়ে দুই ডান হাতি ব্যাটসম্যান নামিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লাভ হয়নি। শুরুতেই ফিরে গেছেন লিটন কুমার দাস। মুজিবের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে হাঁকাতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন বল। সে ক্যাচ সহজেই ধরে নিয়েছেন নজিব তারাকাই। ২ বলে কোন রান নিতে পারেননি লিটন।
১ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২ রান। ১ রানে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ওপেনিংয়ে মুশফিক
নিয়মিত ওপেনার সৌম্য সরকার ওপেনিংয়ে নামেননি। তার জায়গায় দলের গোড়াপত্তন করতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে নামলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তবে ওয়ানডেতে এর আগে ওপেনিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মুশফিকের।
নবির ব্যাটে আফগানদের লড়াইয়ের পুঁজি
মাত্র ৪০ রানে যখন দলের সেরা চার ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায় তখন মাঠে নামেন মোহাম্মদ নবি। আসগর আফগানের সঙ্গে কিছুটা ধীর গতিতে ইনিংস মেরামতের কাজ করলেন। গড়েন ৮৯ রানের জুটি। ততক্ষণে চাপ সামলে নেয় দলটি। এরপর নামলেন বিধ্বংসী রূপে। ৩৩ বলে ৩১ রানের পর শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে করলেন ৮৪ রান। অর্থাৎ শেষ ২১ বলে এসেছে ৫৩ রান। তার ব্যাটে চড়েই লড়াইয়ের পুঁজি পেল আফগানিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করে দলটি।
৮৪ রানের হার না মানা ইনিংসে চারের চেয়ে ছক্কা মারার দিকে বেশি মনযোগী ছিলেন নবি। ৩টি চারের সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ৭টি। ১৯তম ওভার শেষেই করেছিলেন ৮৩ রান। কিন্তু শেষ ওভারটি দুর্দান্ত করেন মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যথায় যে ছন্দে ছিলেন তাতে তিন অঙ্কের কোটা স্পর্শ করা অবিশ্বাস্য কিছু ছিল না।
বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন পেসার সাইফউদ্দিন। শুরুতে জোড়া উইকেট নিয়ে আফগানদের চেপে ধরেছিলেন। আবার শেষ দিকে ফিরেও জোড়া উইকেট নিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা ব্রেক থ্রু আসে তার বলেই। ৩৩ রানের খরচায় পান ৪টি উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৪/৬ (গুরবাজ ০, জাজাই ১, তারাকাই ১১, আসগর ৪০, নাজিবুল্লাহ ৫, নবি ৮৪*, গুলবদিন ০, করিম ৫*; সাইফুদ্দিন ৪/৩৩, সাকিব ২/১৮, মোস্তাফিজ ০/২৫, তাইজুল ০/৩২, সৌম্য ০/৩১, মোসাদ্দেক ০/১২, মাহমুদুল্লাহ ০/৩)।
নবির হাফসেঞ্চুরি
শুরু থেকেই দারুণ খেলছেন মোহাম্মদ নবি। সে ধারায় তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরিও। সৌম্য সরকারের বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের অর্ধশত রান পূরণ করেন এ ব্যাটসম্যান। শুধু তাই নয় সে ওভারে টানা চারটি বাউন্ডারি পেরেছেন। সৌম্যর সে ওভারে আসে ২২ রান। এর আগে সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগানকে নিয়ে দলের ইনিংস মেরামত করেছেন।
১৮ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৪ রান। নবি ৬৯ ও জানাত ২ রানে ব্যাট করছেন।
গুলবাদিনকেও ফেরালেন সাইফ
চার বল আগেই জুটি ভেঙে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এরপর আবার আঘাত হেনেছেন এ পেসার। ফিরিয়েছেন গুলবাদিন নাইবকেও। তার বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে গেছেন গত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া এ ব্যাটসম্যান। ২ বল খেলে কোন রান করতে পারেননি নাইব।
১৭ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২২ রান। ৪৮ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ নবি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন করিম জানাত।
অবশেষে জুটি ভাঙলেন সাইফ
আফগানদের ইনিংস মেরামত করে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আসগর আফগান ও মোহাম্মদ নবি। জুটিও চোখ রাঙাচ্ছিল। আউট করেও নো-বলের কারণে জীবন পেয়েছেন আসগর। এরপর আরও ভয়ঙ্কর হন তারা। স্কোরবোর্ডে ৮৯ রান যোগ করেন। তবে অবশেষে এ জুটি ভাঙতে পেরেছে বাংলাদেশ। পেসার সাইফউদ্দিনের বলে আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েছেন আসগর। ৩৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
তাইজুলের ভুলে বেঁচে গেলেন আসগর
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন আসগর আফগান ও মোহাম্মদ নবি। দারুণ জুটি গড়ে আফগানদের পুঁজি বড় করছেন। এ জুটি ভেঙ্গেছিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার বলে লংঅনে ক্যাচ নিয়েছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু রিভিউতে দেখা যায় বল করার সময় লাইন পেরিয়ে গিয়েছিলেন তাইজুল। নোবলের কারণে বেঁচে গেলেন আসগর। এ সময় ৩৭ রানে ব্যাট করছিলেন আসগর।
১৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৯ রান। আসগর ও নবি দুইজনই ৩৮ রানে ব্যাট করছেন।
আসগর-নবি জুটিতে পঞ্চাশ, দলীয় একশ
৪০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল দারুণভাবেই ধরেছেন মোহাম্মদ নবি ও আসগর আফগান। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দলের ইনিংস গড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির দিকেও। এরমধ্যেই তাদের জুটি পার করেছে ফিফটি। দলের সংগ্রহও পার করেছে শতরানের কোটা। ৪২ বলে আসে তাদের জুটির পঞ্চাশ। তাতে অবশ্য নবির অবদানই বেশ। করেছেন ২৯ রান। আসগরের ব্যাট থাকে আসে ১০ রান। আর ১৪.২ ওভারে (৮৭ বল) এসেছে দলের শতরান।
আফগানদের দলীয় ফিফটি
শুরুতে ৪ উইকেট তুলে আফগানিস্তানকে দারুণ চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। সে চাপ সামলে ইনিংস মেরামতের কাজে নেমেছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আসগর আফগান ও মোহাম্মদ নবি। এর মধ্যে দলের হাফসেঞ্চুরিও পার করেছেন। ৮.২ ওভারে এসেছে তাদের দলীয় ফিফটি।
৯ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫১ রান। আসগর আফগান ১৫ ও মোহাম্মদ নবি ৬ রানে ব্যাট করছেন।
আগের বলটি বেশ আলগা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তার প্রাপ্য সাজা দিয়েছিলেন নজিবুল্লাহ জাদরান। পরের বলটিও প্রায় একই রকম। অফস্টাম্পের অনেক বাইরে। এবার গেলেন জায়গায় দাঁড়িয়ে ছক্কা হাঁকাতে। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকভাবে লাগাতে পারলেন না বিধ্বংসী এ ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। লংঅফে বেশ খানিকটা দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য সরকার। ৭ বলে ১টি চারের সাহায্যে ৫ রান করেছেন নজিবুল্লাহ।
পাওয়ার প্লে শেষে ৬ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪১ রান। ১০ রানে ব্যাট করছেন আসগর আফগান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ নবি।
সাইফ উদ্দিনের আগের বলেই দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন নজিব তারাকাই। পরের বলেও গেলেন হাঁকাতে। তবে এবার আর মাঠ পার করতে পারেননি। মিডউইকেট সীমানায় সহজেই ক্যাচ ধরে নিয়েছেন সাব্বির রহমান। ফলে শুরুতেই আফগানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা। ১৩ বলে ১টি ছক্কায় ১১ রান এসেছে তারাকাইয়ের ব্যাট থেকে।
৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৯ রান করেছেন আফগানিস্তান। ১ রানে ব্যাট করছেন আসগর আফগান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন নজিবুল্লাহ জাদরান। আগের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
জাজাইকে ফেরালেন সাকিব
নিজের প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন সাকিব আল হাসান। যদি না উইকেটের পেছনে একটু তৎপর হতে পারতেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। তবে চতুর্থ বলে উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। তবে পেয়েছেন হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট। তার বলে হাঁটু গেরে স্লগ করতে গিয়েছিলেন জাজাই। ব্যাটে বলে ঠিকভাবে সংযোগ না হওয়ায় উঠে যায় আকাশে। মিডউইকেটে দারুণ ক্যাচ লাইফ নিয়েছেন লিটন কুমার দাস। ২ বল ১ রান এসেছে জাজাইর ব্যাট থেকে।
২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০ রান। ৪ রানে ব্যাট করছেন নজিব তারাকাই। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন আসগর আফগান।
প্রথম বলেই রহমানউল্লাহকে ফেরালেন সাইফ
ইনিংসের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন পেসার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। জাদুকরী এক ডেলিভারিতে অফ স্টাম্প উড়িয়ে দিয়েছেন আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের। মিডল স্টাম্পে রাখা বলটি হালকা সুইং করে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বোল্ড হয়ে যান এ আফগান ব্যাটসম্যান। কোন রান করতে পারেননি আগের দিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ ব্যাট করা এ ওপেনার।
১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪ রান। ১ রানে ব্যাট করছেন হজরতউল্লাহ জাজাই। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন নজিব তারাকাই।
পরিবর্তন নেই আফগানদের একাদশেও
বাংলাদেশের মতো অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে আফগানিস্তানও। উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখেছে তারাও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামা খেলোয়াড়রাই মোকাবেলা করবেন টাইগারদের।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, নজিব তারাকাই, আসগর আফগান, নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, ফরিদ আহমেদ ও মুজিব উর রহমান।
অপরিবর্তিত বাংলাদেশ একাদশ
আগের দিন হুট করে আবু হায়দার রনিকে দলে নেওয়ায় একাদশে পরিবর্তন আসবে বলেই ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একাদশে কোন পরিবর্তন আসেনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা একাদশই মাঠে নেমেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাব্বির রহমান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ভাগ্য পরীক্ষায় হেরেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তান দলের অধিনায়ক রশিদ খান। মানে আগে ফিল্ডিং করতে হবে টাইগারদের। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায়।
ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসার মিশন
বেশ কয়েকদিন থেকেই ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দৈন্যদশা। তরুণরা ভুগছেন ধারাবাহিকতার অভাবে, সিনিয়রদের কেউ কেউ হুট করে ছন্দহীন। টেস্টের মতো তাই সাদা বলের ক্রিকেটেও ব্যাটিং এখন বড় চিন্তার নাম। প্রশ্ন উঠছে ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য নিয়েও। ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। সমর্থক আর গণমাধ্যমের চাপকেই ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করেন তিনি।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হেরে আসার পর ত্রিদেশীয় সিরিজে নেমেও বাংলাদেশ পড়ে একই সংকটে। শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৫ রান তাড়ায় নেমে এক পর্যায়ে ৬০ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। ওই অবস্থা থেকে আফিফ হোসেনের মুন্সিয়ানায় শেষ পর্যন্ত জিতলেও টপ আর মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা আড়ালে পড়েনি।
ম্যাকেঞ্জির ভাষায়, ‘আমি বিশ্বাস করি যে মানের প্রতিভা ও প্রয়োগ আছে, প্রতি ম্যাচেই আমাদের জেতার অবস্থা থাকে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু বাংলাদেশেই। কারণ আমরা তাদের মাত্রাতিরিক্ত চাপে রাখি। এর বদলে যদি বিশ্বাস রাখতাম, যেটা সমর্থক ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে আসতে পারত। তারা তো মেশিন না, তারা মানুষ। আমরা যদি কাল হারিও তবু আমাদের সমর্থন থাকতে হবে। আমরা হারতে আসি না। বাংলাদেশ ভয়ডরহীন থেকে শতভাগ ইতিবাচক খেলতে আসে।’
সেরাটা দিয়েই আফগান বধ করতে চায় টাইগাররা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বেশ ঘাম ছুটে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ক্যামিও ইনিংসে জয় পায় টাইগাররা। তাতে দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আর সে আত্মবিশ্বাস নিয়েই আফগানদের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে চায় বাংলাদেশ।
আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পূর্ব ইতিহাস ভালো নয়। ওয়ানডেতে হয়তো এগিয়ে আছে, কিন্তু টি-টোয়েন্টি বেশ পিছিয়ে তারা। দেরাদুনে সবশেষ সিরিজে তো হোয়াইটওয়াশই হয়েছে টাইগাররা। তাদের বিপক্ষে জিততে পেরেছে মাত্র ১টি ম্যাচ। তার উপর কদিন আগেই টেস্ট ম্যাচে তাদের কাছে নাস্তানুবাদ হয়েছে সাকিবরা।
কিন্তু অতীত ইতিহাস কিংবা টেস্টের হার এসব নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ দল। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে জয় পাবেন বলেই বিশ্বাস করেন দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, 'আমার মনে হয় আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি, তাহলে আমাদের হারানো খুব কঠিন হয়ে যাবে।'
Comments