কারাগারে ১৪১ জনের স্থানে ৯ চিকিৎসক: কারা মহাপরিদর্শক
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেছেন, সারাদেশে কারাগারে ১৪১ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু সেখানে মাত্র ৯ জনের পদায়ন হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সস্তাপুর এলাকায় জেলা কারাগারের বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানিয়ে বলেন, অবস্থা উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে কাজ চলছে।
মোস্তফা কামাল পাশা আরো বলেন, বন্দীদের যাতে মনেই না হয় যে তারা কারাগারে রয়েছেন। এটাই আমাদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী বন্দীশালাগুলো আর বন্দীশালা হিসেবে দেখতে চান না। সংশোধনাগার হিসেবে দেখতে চান।
তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন কারাগারে ঘুরে দেখেছি এতে বন্দীরা খুবই আনন্দিত ও প্রফুল্ল। এছাড়া আগে উন্নতমানের খাবারে বরাদ্দ ছিল ৩০ টাকা যা ৫ গুন বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। বন্দীদের সকালের নাস্তা হিসেবে রুটি আর ১৪ গ্রাম গুড় দেওয়া হতো যা পরিবর্তন করে খিচুড়ি, সবজি, রুটি ও হালুয়াতে পরিণত করা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
সারাদেশে কোন কারাগারেও একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, এটা একটা বিরাট সাফল্য। কারা অভ্যন্তরে গার্মেন্ট ও জামদানী কারখানায় উৎপাদিত পন্যের বিক্রয়লব্ধ লভ্যাংশের ৫০ ভাগ কর্মরত বন্দীদের দেওয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন তারা কাজ শিখছেন অর্থ উপার্জনও করছেন। এতে তারা কারামুক্ত হয়ে সমাজে পুর্নবাসিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বন্দী পুর্নবাসন সরকারের একটা ড্রিম প্রজেক্ট। আমরা প্রতিনিয়ত বন্দীদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে ডে কেয়ার সেন্টার, প্রিজন জেন্টস পার্লার ও স্টুডিও এবং বন্দী প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসন কেন্দ্র, বন্দী ব্যারাকের উধ্বর্মুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা। পরে তিনি কারা গার্মেন্টস রিজিলিয়ান্স, জামদানি তৈরীর কারখানা, লেডিস পার্লারসহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি টিপু সুলতান, নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার তানিয়া জামান, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
Comments