৪০ দিনেও নিখোঁজ স্কুলছাত্রের হদিস পায়নি পুলিশ
নিখোঁজের ৪০ দিন অতিবাহিত হলেও, খুঁজে পাওয়া যায়নি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাফাটিয়া গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল ইসলামকে। পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ ও র্যাবের কাছে আলাদা অভিযোগ করা হয়েছে। মা-বাবাসহ স্বজনরা দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সন্তানকে ফিরে পেতে। সহপাঠী, শিক্ষক এবং এলাকাবাসী করেছে মানববন্ধন। দীর্ঘদিনেও আশরাফুলকে উদ্ধার করতে না পারায়, পুলিশের উদাসীনতাকে দায়ী করছে তারা। আর পুলিশ বলছে, আশরাফুলকে খুঁজে বের করতে প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করার কারণে সময় বেশী লাগছে।
আশরাফুল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ধল্লা-কাফাটিয়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর একমাত্র ছেলে। সে স্থানীয় কাফাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। আশরাফুলের মা ফাতেমা বেগম জানান, গত ৬ আগস্ট বিকেলে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয় আশরাফুল। সে আর ফিরে আসেনি।
আশরাফুলের বাবা মোহাম্মদ আলী জানান, তিনি ২০০১ সাল থেকে সৌদি আরবে কর্মরত। ছেলে নিখোঁজের পর সৌদি আরবে তাকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে তিনি দেশে ফিরে পুলিশ ও র্যাবকে অভিযোগ করেন।
এদিকে নিখোঁজ আশরাফুলকে উদ্ধারের দাবিতে এলাকায় মানববন্ধন করেছে তার সহপাঠী, শিক্ষক, এলাকাবাসী ও স্বজনরা। তারা আশরাফুলকে দ্রুত খুঁজে বের করে তাদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সহপাঠী সাথী আক্তার জানায়, আশরাফুল তার খুব ভালো বন্ধু। সামনে এসএসসি পরীক্ষা। তাকে দ্রুত খুঁজে বের করে তাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আশরাফুলকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে আরও তৎপর হওয়ার আহবান জানান কাফাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মফিজ উদ্দিন।
আর মানিকগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান বলছেন, আশরাফুলকে খুঁজে বের করতে তারা প্রযুক্তির ব্যবহার করে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আশরাফুল নিখোঁজের একমাস পর গত ৪ সেপ্টেম্বর তার সহপাঠী সোহান নিখোঁজ হলে একদিন পর তাকে বরিশালে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। দুজন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
Comments