স্কলারশিপ মিললেও ছুটি মিলছে না
নেদারল্যান্ডসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের গবেষণা বৃত্তি পেয়েও সেখানে না যেতে পারার অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের একজন শিক্ষক। এ ক্ষেত্রে তিনি তার বিভাগের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম এক বছরের জন্যে ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভের’ আবেদন করেন। তিনি নেদারল্যান্ডসের লিডেন ইউনিভার্সিটিতে গবেষক হিসেবে কাজ করার জন্যে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি চেয়েছিলেন।
মাইদুলের অভিযোগ, সাধারণত সর্বোচ্চ সাত কার্যদিবসের মধ্যে কাজ হলেও তিনি তার বিভাগ ও রেজিস্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করলে ছুটি মঞ্জুর না হওয়ার জন্যে একজন অপরজনকে দোষারোপ করা হয়।
জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর মাইদুলের ছুটির ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিটির সভার জন্যে অনুমতি চেয়ে রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমেদকে চিঠি দেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি পারভীন সুলতানা।
মাইদুল বলেন, “আমি যখন এ বিষয়ে জানার জন্যে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক পারভীন সুলতানার কাছে গেলাম তখন তিনি বললেন রেজিস্ট্রার অফিস থেকে তার পাঠানো চিঠির কোনো উত্তর আসেনি। আবার যখন রেজিস্ট্রারের কাছে গেলাম তখন তিনি বললেন যে তিনি পরিকল্পনা কমিটির সভার অনুমতি চেয়ে বিভাগের সভাপতির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন।”
রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিভাগের সভাপতি হচ্ছেন পরিকল্পনা কমিটির প্রধান। কমিটির বৈঠকের বিষয়ে রেজিস্ট্রারের কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না বলেও জানান তিনি। বলেন, “যদিও লিখিত চিঠির উত্তর দেওয়া আমার এখতিয়ারের বাইরে তবুও আমি মৌখিকভাবে বিভাগের সভাপতিকে পরিকল্পনা কমিটির সভা করতে কোনো বাধা নেই বলে জানাই।”
এদিকে, পারভীন সুলতানা এটিকে ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Comments