স্মিথের সেঞ্চুরিগুলো ‘কুৎসিত’, কোহলিকেই পছন্দ জন্টি রোডসের
সময়ের সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান কে? আইসিসি র্যাঙ্কিং কথা বলছে স্টিভ স্মিথের পক্ষে। ১৬ মাস পর সাদা পোশাকে ফিরেই ভারত দলনেতা বিরাট কোহলিকে টপকে শীর্ষ টেস্ট ব্যাটসম্যানের আসনটা দখল করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা। তবে গোটা দুনিয়া দ্বিধা-বিভক্ত এই প্রশ্নে। কেউ স্মিথকে এগিয়ে রাখেন তো কেউ কোহলিকে। ব্যাটিংয়ের কৌশল বিচার করে, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা জন্টি রোডস ভোট দিয়েছেন কোহলির বাক্সে। এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি তিনি। স্মিথের ব্যাটিং ‘কুৎসিত’ বলেও মন্তব্য করেছেন রোডস।
স্মিথের ব্যাটিং কৌশল ঠিক ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ মেনে চলে না। একেবারেই ভিন্ন ধাঁচে খেলে থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে রোডস বলছেন, স্মিথের মতো অসুন্দর কায়দায় আর কাউকেই কখনও ব্যাটিং করতে দেখেননি তিনি, সে তুলনায় কোহলি উপহার দেন দৃষ্টিনন্দন খেলা, ‘আমি কোহলির ব্যাটিং দেখতে পছন্দ করি। স্মিথ যে ধরন ও কৌশলে খেলে, ওরকম কুৎসিতভাবে সেঞ্চুরি করতে আমি কখনও কাউকে দেখিনি। কিন্তু সে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েই যাচ্ছে।’
বল টেম্পারিং করে পাওয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে সদ্যসমাপ্ত অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে টেস্টে ফেরেন স্মিথ। রাজসিক প্রত্যাবর্তনে প্রথম টেস্টেই করেন জোড়া সেঞ্চুরি (১৪৪ ও ১৪২ রান)। এরপর তার রানের বন্যা বইতেই থাকে। একে একে খেলেন ৯২, ২১১, ৮২ ও ৮০ রানের ইনিংস। কেবল সিরিজের শেষ ইনিংসে ছুঁতে পারেননি ফিফটি। আউট হন ২৩ রানে। সবমিলিয়ে ৪ টেস্টের ৭ ইনিংসে ১১০.৫৭ গড়ে ৭৭৪ রান করেন স্মিথ। তার অতিমানবীয় নৈপুণ্যে ১৮ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ ধরে রেখে দেশে ফিরেছে অসিরা।
এত কিছু করেও অবশ্য রোডসের সুদৃষ্টি পাচ্ছেন না স্মিথ। গণমাধ্যমের কাছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিল্ডার আরও জানিয়েছেন, ‘যারা ক্রিকেট দেখতে পছন্দ করে, তারা বলতে চায়, “বাহ, কী সুন্দর শট”, তারা বলতে চায় না, “ওহ! সে কীভাবে এই শটটা মারল!” তাই আমার কাছে এই মুহূর্তে কোহলিই সেরা।’
Comments