আমিনুল ও শান্তর অভিষেক
দলে ঢুকেই বেশ হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। কারণ নির্বাচকরা বলেছিলেন ব্যাটসম্যান হিসেবে নয়, বোলার হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে তাকে। আর প্রথমবার দলে জায়গা নিয়ে এবার একাদশেও জায়গা করে নিয়েছেন এ তরুণ। বাংলাদেশের ৬৫তম টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসেবে ক্যাপ পেয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরও।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরেই নজর কেড়েছিলেন আমিনুল। তবে সেটা ব্যাটসম্যান হিসেবে। বিকেএসপির মতো সাদামাটা দলটিকে প্রায় একাই টেনেছিলেন। দারুণ ব্যাটিং করে ১৩ ম্যাচে করেছিলেন ৪৪০ রান। ছিল ৪টি হাফসেঞ্চুরিও। তবে স্ট্রাইক রেটটা খুব একটা ভালো ছিল না তার। ৬৭ এর কাছাকাছি। সেই আমিনুলই বিবেচিত হলেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
তবে ব্যাটিং সামর্থ্যের চেয়ে লেগ স্পিন বল করতে পারায় সুযোগ মিলেছে তার। আর টস করার পর অধিনায়ক সাকিবও বলেছেন, একজন স্পিনারের অভিষেক হচ্ছে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ স্পিন বল করে থাকেন আমিনুল। তবে সেটা মাঝেমধ্যেই। ঢাকা লিগেও নিয়মিত ছিলেন না। ১৩ ম্যাচের ৬টিতে বল করেছিলেন। তাতে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১টি। অবশ্য বাংলাদেশ এ দলের হয়ে আফগানিস্তান এ দলের বিপক্ষে ২টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। সে ম্যাচে ভালো করার ফলই পাচ্ছেন এ তরুণ।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না খেললেও এর আগে ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন শান্ত। বাংলাদেশ দলের পাইপলাইনে অনেক দিন থেকেই আছেন এ তরুণ। নিউজিল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এ ব্যাটসম্যান গত ঢাকা লিগে খেলেছেনও দারুণ। সে ধারায় এশিয়াকাপে ওয়ানডে দলে ছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় দল থেকে বাদ পড়ে যান। টি-টোয়েন্টি দিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন তিনি।
মিরপুরে দুই পেসার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রামে এসে একজন পেসারকে বাড়ানো হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের সঙ্গে একাদশে জায়গা মিলেছে শফিউল ইসলামের। সব মিলিয়ে একাদশে পরিবর্তন এসেছে তিনটি। সৌম্য সরকার দল থেকে বাদ পড়ায় তার পরিবর্তন অনুমিতই ছিল। এছাড়া বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান ও তাইজুল ইসলাম।
Comments