‘জয়ের অভ্যাস’ নিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে নামতে চায় বাংলাদেশ
সাগরিকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। তাতে মিলেছে ফাইনালের টিকেট। ফাইনালে উঠে গেছে আফগানিস্তানও। তাই প্রাথমিক পর্বে আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে। কিন্তু জিততে মরিয়া সাকিব আল হাসানের দল আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে ম্যাচটিকে। কারণ তারা চান জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শিরোপার লড়াইয়ের মঞ্চে পা রাখতে। তার সঙ্গে আফগানদের বিপক্ষে জয়খরা ঘোচানো ও নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্যও থাকছে বাংলাদেশের।
সবশেষ বিশ্বকাপের মাঝপথ থেকে হুট করেই পরিস্থিতিটা বদলে গেছে বাংলাদেশের। ফলে আফগানিস্তানও এখন টাইগারদের জন্য বাঘা প্রতিদ্বন্দ্বী। নানা সংকটে থাকা জিম্বাবুয়েও চোখ রাঙায়! ধারাবাহিক জয়ই কেবল পারে প্রেক্ষাপট বদলে টাইগারদের সুসময় ফেরাতে। আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন সাকিবরা। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলে হারানো আত্মবিশ্বাসের অনেকটাই ফিরে পাবেন তারা, যা ফাইনালে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে হতে পারে বড় প্রভাবক।
ম্যাচের আগের দিন শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই তাই নিজেদের ঝালিয়ে নিতে অনুশীলনে বেশ নিবেদনের পরিচয় দেয় বাংলাদেশ। এমনকি হাতে তিনটি সেলাই নিয়েও বোলিং করেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। সেখানেই সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানালেন পেসার শফিউল ইসলাম, ‘(ফাইনালের) প্রস্তুতিটা ভালো করা সম্ভব। কালকের (শনিবার) ম্যাচটা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভালো খেললে এ থেকে সবার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। জয়ের অভ্যাসটা আমাদের ফাইনাল খেলার জন্য সহায়তা করবে।’
কিন্তু বাস্তবতা বলছে, কাজটা সহজ নয়। টি-টোয়েন্টিতে শেষ চারটি ম্যাচেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। এ সংস্করণে তাদের বিপক্ষে দলটির একমাত্র জয়টি এসেছিল ২০১৪ সালে। তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবে যাত্রা শুরু ছিল আফগানদের। এরপর অনেক বদলেছে তারা। কয়েকজন দারুণ খেলোয়াড়ের সম্মিলনে দলটি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়েও টাইগারদের চেয়ে অনেক উপরে অবস্থান করছে। তার উপর, এই ফরম্যাটে টানা জয়ের রেকর্ডও এই মুহূর্তে তাদের দখলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই একনাগাড়ে ১২টি ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তান, যা করতে পারেনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড কিংবা উইন্ডিজের মতো দলও।
তবে আগের ম্যাচে করা ভুলগুলো শুধরে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারলে আফগানিস্তানকে হারানো যাবে বলে মনে করেন শফিউল, ‘আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো শুধরাতে পারি, যে যার কাজটা ঠিক মতো করতে পারি, শতভাগ দিতে পারি, তাহলে ওদের হারানো সম্ভব।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলে ঘন ঘন পরিবর্তন আসছে। একের পর এক খেলোয়াড়দের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ফল পাচ্ছেন না নির্বাচকরা। অবস্থার পরিবর্তন করতে আনকোরা তরুণদেরও তারা দলে এনেছেন। ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন আসছে যখন তখন। বেড়েছে স্পিনারদের প্রাধান্যও। তবে বোলিং আক্রমণ যেভাবেই সাজানো হোক না কেন, নিজেদের শক্তির জায়গাটা ধরে রাখতে বললেন শফিউল, ‘পেসাররা খেলুক বা স্পিনাররা, যদি নিজের শক্তির জায়গায় থেকে-শক্তির বাইরে না গিয়ে ঠিক জায়গাটায় তারা বল করে, তাহলে ভালো করা সম্ভব।’
Comments