ধর্ষণ করে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার স্বীকারোক্তি যুবলীগ নেতার
কিশোরীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান কামাল।
গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কামরুলকে মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে হাজির করলে বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। এ কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর না করে বিচারক তাকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, “আদালতের নির্দেশে রবিবার রাতেই তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে, যে মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেছে, তা উদ্ধারের জন্য শীগগিরই পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আবার রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।”
গত ২০ সেপ্টেম্বর কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করার পর ওই রাতেই কামালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ঘিওর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান অনেক সময় নিজেকে সাংবাদিক হিসেবেও পরিচয় দিতেন।
ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় আটকের পর কামরুলকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান জনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে ওই কিশোরীর বড় বোনের জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান কামাল। সে সময় ওই পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে তার। সেই সূত্রে দুই মাস আগে ওই কিশোরীকে ঢাকায় বেড়াতে নিয়ে যান তিনি। ঢাকার একটি হোটেলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এবং সে ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার তার বিরুদ্ধে কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মামলা করেন।
Comments