কাকুতি-মিনতি করে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন শচীন!

ক্যারিয়ারের শুরুতে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতেন ভারতের কিংবদন্তি সাবেক তারকা শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অবশ্য সেখানে খুব বেশি সফলতা পাননি। সামর্থ্যের সেরাটা তিনি উপহার দিতে পেরেছেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু শচীনকে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা অধিনায়ক, কোচ বা নির্বাচকদের মাথা থেকে আসেনি। বরং তিনি নিজেই কাকুতি-মিনতি করে রাজি করিয়েছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টকে!
Sachin Tendulkar
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ক্যারিয়ারের শুরুতে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতেন ভারতের কিংবদন্তি সাবেক তারকা শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অবশ্য সেখানে খুব বেশি সফলতা পাননি। সামর্থ্যের সেরাটা তিনি উপহার দিতে পেরেছেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু শচীনকে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা অধিনায়ক, কোচ বা নির্বাচকদের মাথা থেকে আসেনি। বরং তিনি নিজেই কাকুতি-মিনতি করে রাজি করিয়েছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টকে! সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকডইনে একটি ভিডিও শেয়ার করে সেই স্মৃতি রোমন্থন করেছেন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ খ্যাত তারকা।

একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করার রেকর্ড রয়েছে শচীনের- টেস্টে ৫১টি, ওয়ানডেতে ৪৯টি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরিগুলোর ৪৫টিই এসেছে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু পছন্দের পজিশনে ব্যাটিং করার সুযোগ পেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল তাকে। ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করার পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামতে পেরেছিলেন শচীন। ঘটনাটা ১৯৯৪ সালের। ভারত তখন গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড সফরে। ম্যাচের ভেন্যু ছিল অকল্যান্ড। সেসময়ের স্মৃতি মনে করে শচীন বলেছেন, ‘যখন আমি ভারতের হয়ে ওপেনিং করতে শুরু করেছিলাম, তখন সব দল উইকেট ধরে রাখার কৌশল বেছে নিত। কিন্তু আমি একটু ভিন্ন কিছু চেষ্টা করেছিলাম।’

তিনি যোগ করেছেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, আমি উপরের দিকে নামতে পারি এবং প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হতে পারি। কিন্তু সুযোগ পেতে আমাকে কাকুতি-মিনতি করতে হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, যদি ব্যর্থ হই তবে আর কখনও এমন কিছু চাইব না।’

ব্যর্থতার ভয় শচীনের ছিল না তা না। তবে নিজের ওপর অগাধ আস্থা আর আত্মবিশ্বাসও তার ছিল ছিল। সেই বলে বলীয়ান হয়ে ওপেনার হিসেবে প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। অকল্যান্ডের মাঠে তুলেছিলেন ঝড়, ‘ওই ম্যাচে আমি ৪৯ বলে ৮২ রান করেছিলাম। তাই আমাকে আর কখনও জিজ্ঞেস করতে হয়নি যে আমি আরেকটা সুযোগ পাব কি না। তারা আগ্রহের সঙ্গে চাইছিল আমি যেন ওপেন করি। এখানে আমি যা বোঝাতে চাইছি তা হলো- ব্যর্থতার ভয় করো না।’

ওপেনার হিসেবে প্রথম পাঁচ ইনিংসে শচীনের স্কোর ছিল যথাক্রমে ৮২, ৬৩, ৪০, ৬৩ ও ৭৩। এরপর আর কখনও পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ক্যারিয়ারের গ্রাফ কেবলই হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। আর মজার ব্যাপার হলো, ১৯৮৯ সালে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করা শচীন এই ফরম্যাটে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ওপেনার হিসেবে, ওই ১৯৯৪ সালেই। পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেপ্টেম্বরে কলম্বোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার ছুঁয়েছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago