ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তে খুশি চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা
দীর্ঘদিন পর হলেও পূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তের কথা শুনে খুশি চাঁদপুরের জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এতে মুখ ভার সাধারণ ইলিশ ক্রেতাদের। কারণ বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ উঠলেও দাম খুব একটা কমেনি। সরেজমিন চাঁদপুরের মাছঘাট ঘুরে জেলে, ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকজনের সঙ্গে কথা এমনই প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর মাছঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী ও জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কালু ভুঁইয়া বলেন, ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে বড়স্টেশন মাছঘাটে প্রচুর ইলিশ নিয়ে আসছেন জেলেরা। হিসাব করে দেখা গেছে গড়ে প্রতিদিন চাঁদপুর মাছঘাটে চার থেকে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন ইলিশ কেনাবেচা চলছে। এখানে ইলিশ আসছে ভোলা, হাতিয়া চরফেশানসহ সাগর থেকে। ভালো দাম ও পরিবহন সুবিধা থাকায় চাঁদপুর মাছঘাটে বিভিন্ন এলাকার জেলেরা ইলিশ এনে বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, সরকার এ সময় ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে আমরা সাধুবাদ জানাব। কারণ ইলিশ রপ্তানি হলে আমাদের সঙ্গে সাধারণ জেলেরা উপকৃত হবেন।
চাঁদপুর থেকে ইলিশ রপ্তানিকারী একমাত্র ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক খন্দকার বলেন, সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে চাইছেন কিনা আমরা তা জানি না। এটা হলে সরকার যেমন লাভবান হবে, তেমনি আমরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হব।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইলিশ বৈধভাবে রপ্তানি করা প্রয়োজন। কারণ অবৈধভাবে প্রচুর ইলিশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে। এতে আমরা ব্যবসায়ীরা যেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, তেমনি সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ জন্য দ্রুত ভারতসহ সারাবিশ্বে বৈধভাবে ইলিশ রপ্তানির ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আসাদুল বাকী বলেন, এ বছর প্রচুর ইলিশ চাঁদপুরে দেখা যাচ্ছে। যার অধিকাংশ আবার বড় আকারের। কিন্তু মৌসুম অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি। ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কিছুই জানি না।
ইলিশ গবেষক চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আনিসুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এই ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করলে শুল্ক আয়ের পাশাপাশি জেলে ও ব্যবসায়ীরা কিছুটা লাভবান হবেন।
Comments