ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবি ছাত্রকে স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানোর অভিযোগ

ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে বিজয় একাত্তর হলের গেস্ট রুমে এই ঘটনা ঘটেছে।

ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে বিজয় একাত্তর হলের গেস্ট রুমে এই ঘটনা ঘটেছে।

হলের গেস্ট রুম নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ব্যাপারে সতর্ক করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর চার দিন বাদেই গেস্ট রুমে ছাত্র পেটানোর অভিযোগ উঠল।

ভুক্তভোগী রানা আকন্দ ছাত্রলীগের গত কয়েকটি কর্মসূচিতে যাওয়া থেকে বিরত ছিল। শুক্রবার রাতে গেস্ট রুমে ডেকে এনে এ ব্যাপারে তাকে জেরা করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত রাব্বি আহমেদ। এ ব্যাপারে “সন্তোষজনক” কারণ দেখাতে না পারায় রানাকে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটায় রাব্বি।

হলের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হলে ওঠা নতুন ছাত্রদের গেস্ট রুমে নিয়মিত ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে হাজিরা দিতে হয়। কিন্তু কিছু দিন ধরে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে নতুন ছাত্রদের উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছিল। এদের মধ্যে রানাও ব্যক্তিগত কারণে কয়েকদিন যায়নি। এ কারণে শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের দ্বিতীয় বর্ষের কর্মীরা নতুন ছাত্রদের জেরা করে।

নতুন ছাত্রদের গেস্ট রুমে ডেকে এনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ‘আদব-কায়দা’ রাজনৈতিক বক্তৃতা ও স্লোগান দিতে ‘শেখায়’ হল শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রানাকে জেরা করতে শুরু করে রাব্বি। ঘটনার দুজন প্রত্যক্ষদর্শী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রানার ব্যাখ্যা ‘সন্তোষজনক’ মনে না করায় তাকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পেটায় রাব্বি। ছাত্রলীগের পরবর্তী কর্মসূচিতে উপস্থিত না থাকলে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।

এই ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে রাব্বি বলেন যে, নতুন ছাত্রদের সঙ্গে তারা শুধু কথা বলেছিল। কাউকে পেটানোর কথা অস্বীকার করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে রানাও কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ছাত্রলীগের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago