মাদ্রিদ ডার্বিতে জেতেনি কেউ
মাঠে নামার আগে ১টি পয়েন্ট থাকে প্রতি দলের। আর সে পয়েন্ট হাতছাড়া করতে চায়নি কেউই। রক্ষণ জমাট রেখে আক্রমণে যায় দুই দলই। তবে শেষ পর্যন্ত গোল আদায় করে নিতে পারেনি কেউ। ফলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মধ্যকার ম্যাচটি।
ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় শনিবার রাতে বল দখলে এগিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদই। লক্ষ্যে শটও করেছিল তারাই বেশি। কিন্তু তুলনামূলক সহজ সুযোগ পেয়েছিল অ্যাতলেতিকোই। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বি থাকে অমীমাংসিত।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো অ্যাতলেতিকো। নিজের অর্ধ থেকে দিয়েগো কস্তার বাড়ানো বল নিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি-বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন জোয়াও ফেলিক্স। কিন্তু তার কোণাকোণি শট লক্ষ্যে থাকেনি। এরপর অ্যাতলেতিকো শিবিরে চাপ বাড়ায় অতিথিরা। কিন্তু জোরালো কোন আক্রমণ করতে পেরেনি।
উল্টো ৩০তম মিনিটে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল অ্যাতলেতিকো। ডান প্রান্ত থেকে আড়াআড়ি দারুণ এক ক্রস করেছিলেন থমাস। গোল পেতে দরকার ছিল একটি টোকার। কিন্তু অল্পের জন্য কস্তা বলের নাগাল না পেলে হতাশা বাড়ে স্বাগতিকদের।
৩৭তম মিনিটে টনি ক্রুসের দূরপাল্লার দুর্বল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকাতে কোন সমস্যা হয়নি অ্যাতলেতিকো গোলরক্ষক জন ওলবাকের। দুই মিনিট ডিবক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন ফেলিক্স। কিন্তু অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৪০তম মিনিটে আবারো দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন ক্রুস। এবার শটটি ছিল বেশ ক্ষিপ্র। কিন্তু দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ঠেকিয়ে দেন ওলবাক। ৪৪তম মিনিটে রিয়ালের ত্রাতা গোলরক্ষক থিবো কোর্তুয়া। মাঝ মাঠ থেকে থমাসের বাড়ানো বল পেয়ে ডি বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন কিরান ট্রিপিয়ার। কিন্তু তার ক্রস গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিলে কোন বিপদ হয়নি।
৪৯তম মিনিটে কস্তার বুদ্ধিদীপ্ত শটে ফাঁকায় হেড নিয়েছিলেন বদলী খেলোয়াড় আনহেল কোরেয়া। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ৭১তম মিনিটে বদলী খেলোয়াড় লুকা মদ্রিচের কোণাকোণি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। একটু পর কর্নার থেকে ফাঁকায় দারুণ হেড নিয়েছিলেন সাউল নিগুয়েজ। কিন্তু বারপোস্ট ঘেঁষে বল বাইরে চলে গেলে হতাশা বাড়ে দলটির।
৭৫ মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি পেয়েছিল রিয়াল। নাচোর ক্রস থেকে দারুণ হেড নিয়েছিলেন করিম বেনজেমা। কিন্তু তার চেয়েও দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ওলবাক। শেষ দিকে অ্যাতলেতিকোর রক্ষণে বেশ চাপ বাড়ালেও কাজের কাজটি করতে না পারায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
তবে একমাত্র দল হিসেবে লালিগায় এখনও অপরাজিত রয়েছে রিয়াল। সাত ম্যাচে চার জয় ও তিন ড্রয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দলটি। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে গ্রানাদা। সমান ১৪ পয়েন্ট অ্যাতলেতিকোরও। তবে ব্যবধানে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে তারা। চতুর্থ স্থানে থাকা বার্সেলোনার সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট।
Comments