সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যও জেতাতে পারল না বার্বাডোজকে

ছবি: সংগ্রহীত

দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের লক্ষ্যটা সাধ্যের মধ্যেই রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ ব্যাটিং করে দলকে গড়ে দিয়েছিলেন জয়ের ভিত। কিন্তু বাকী ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ। ফলে সাকিবের অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যও পারলো না বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে জেতাতে। ১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।

বল হাতে এদিন ম্যাচের শুরুটা করেছিলেন সাকিবই। প্রথম ওভারেই মেডেন। বাকী ওভার গুলোতেও খুব বেশি খরচ করেননি। তার উপর প্রতিপক্ষ অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে ফেলেছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের খরচায় ১ উইকেট সাকিবের। তবে সাকিবের মতো চাপটা ধরে রাখতে পারেননি বাকী বোলাররা। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৯ রানের স্কোর পায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস।

অবশ্য দলের হয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন সামার ব্রুকস। সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৩৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান সংগ্রহ করেন তিনি। ডেভন থমাসের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৪৩ রানের জুটি। থমাস ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন দুইজনই করেছেন ২০ রান করে।

লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ১৫ রানেই জনসন চার্লসকে হারায় বার্বাডোজ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে ৪১ ও তৃতীয় উইকেটে জেপি ডুমিনির সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব। তাতে জয়ের পথটা গড়ে দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে যখন থামেন তখন জয়ের জন্য দরকার ৫১ বলে ৬৫ রান। হাতে ছিল ৭টি উইকেট।

কিন্তু এরপর শেল্ডন কট্রেল ও ব্র্যাথওয়েটের বোলিং তোপে পড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় বার্বাডোজের ব্যাটিং লাইনআপ। নয় নম্বরে নামা রেইমন রিফের (৩৪) ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই হাল ধরতে পারেননি। শেষ ওভারে সাকিবদের দরকার ছিল ১২ রান। ডমিনিক ড্রেকসের করা ওভারের প্রথম বলটি ছিল ওয়াইড। পরের বলে ছক্কা মেরেছিলেন রিফার। কিন্তু পরের বলেই ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান রিফার।

শেষ ৪ বলে তখন দরকার ছিল ৪ রান। ৩ বলে আসে ২ রান। শেষ বলে প্রয়োজন তখন ২ রানের। কিন্তু ড্রেকস বোল্ডই করে দেন হ্যারি গার্নিকে। ১ রান থামে সাকিবদের ইনিংস। অন্যদিকে প্লেঅফ নিশ্চিত হয়ে যায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের। তাদের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন কট্রেল ও ব্র্যাথওয়েট দুইজনই।

Comments

The Daily Star  | English

What does Trump 2.0 mean for businesses in Bangladesh?

For local business communities, Donald Trump’s victory in the presidential race has been shorthand for the expectation that Western apparel orders and some foreign investments would shift to Bangladesh, with global fashion powerhouse China possibly facing higher import tariffs from the US.

10h ago