জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিঙ্গাপুরের ঐতিহাসিক জয়
ঝড় তুলে শন উইলিয়ামস যখন বিদায় নেন, তখন জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ১৪ বলে ১৯ রান। তখনও দলটির ভাণ্ডারে ছিল ৬ উইকেট, ছিলেন রায়ান বার্ল ও রিচমন্ড মুতুম্বামির মতো আগ্রাসী ব্যাটসম্যানরা। জিম্বাবুয়ের জয় সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু একই ওভারে বার্ল ও মুতুম্বামিকে সাজঘরে ফেরান সিঙ্গাপুরের মিডিয়াম পেসার জনক প্রকাশ। তাতে উল্টে যায় পাশার দান।
দলের তরী তীরে ভেড়ানোর দায়িত্ব গিয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ের লোয়ার অর্ডারের কাঁধে। দুর্দান্ত সুযোগ বুঝে সিঙ্গাপুরের অধিনায়ক আমজাদ মাহবুব আক্রমণে আনেন সিদ্ধান্ত সিংকে। এই ফাস্ট বোলার আস্থার প্রতিদান দিয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান দেন। তাতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪ রানের অবিস্মরণীয় জয় তুলে নিয়েছে সিঙ্গাপুর।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অর্জনের স্বাদ নিয়েছে সিঙ্গাপুর। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে দলটি।
বৃষ্টির কারণে ১৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় স্বাগতিকরা। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তারা ৯ উইকেটে করে ১৮১ রান। ওপেনার রোহান রাঙ্গারজন ২২ বলে ৮ চারে ৩৯ রান করেন। আরেক ওপেনার সুরেন্দ্রন চন্দ্রমোহনের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৩ রান।
তিনে নামা টিম ডেভিড ২ চার ও ৪ ছয়ে খেলেন ২৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস। তার চেয়েও আক্রমণাত্মক খেলে মানপ্রিত সিং করেন ২৩ বলে ৪১ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছয়। জিম্বাবুয়ের বার্ল ৩ ওভারে ২৪ রানে পান ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়েকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন রেগিস চাকাভা। মাত্র ১৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৯ রান যোগ করেন অধিনায়ক উইলিয়ামস ও টিনোটেনডা মুতম্বোডজি। এই বিপজ্জনক জুটি ভাঙে ২৫ বলে ৩২ রান করা মুতম্বোডজির বিদায়ে।
এরপর সিঙ্গাপুর অধিনায়ক মাহবুব শিকার করেন উইলিয়ামসের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি। তিনি ৩৫ বলে সমান ৫টি করে চার ও ছয়ে খেলেন ৬৬ রানের অসাধারণ ইনিংস। পরের ব্যাটসম্যানরা হাল ধরতে না পারায় ৭ উইকেটে ১৭৭ রান তুলে থামতে হয় জিম্বাবুয়েকে। মাহবুব ২০ রানে ও জনক ৩৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
Comments