ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ

টাকা অপচয়ের একটি দৃষ্টান্ত!

পরিকল্পনা কতটা দুর্বল ও অপরিপক্ব হতে পারে, তার একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প। প্রায় ৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্পের আওতায় ১৯২ কিলোমিটার মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হয়।
dhaka ctg highway
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ছবি: স্টার

পরিকল্পনা কতটা দুর্বল ও অপরিপক্ব হতে পারে, তার একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প। প্রায় ৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্পের আওতায় ১৯২ কিলোমিটার মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হয়।

২০১৭ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার দুই বছরের মাথায় মহাসড়কটি বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ে। সেখানে খানাখন্দক সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি ডিভাইডারের দেয়াল ভেঙে পড়ে। সড়কের সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচলের ফলে রাস্তা দেবে (রাটিং) যায়। বাইন্ডার কোর্স ও বিটুমিন কার্পেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এসব সংস্কারের জন্যে সরকারকে ৭৯৩ কোটি টাকা নতুন করে বরাদ্দ দিতে হয়েছে।

২০০৬ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পটির প্রাথমিক নকশায় দেখা যায়- মহাসড়কটি কোনো ক্ষতি ছাড়াই ১০ বছর যান চলাচলের উপযোগী থাকবে। কিন্তু, উদ্বোধনের ছয় মাস যেতে না যেতেই সড়কে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। পরিকল্পিত সমীক্ষার অভাব ও কতোসংখ্যক যানচলাচল করতে পারে, তা বিবেচনায় না থাকায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের (আরটিএইচডি) প্রতিবেদনে এসব উঠে আসে।

বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শামসুল হক সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর মহাসড়কে নিয়মিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। এখন দেখা যাচ্ছে মহাসড়কটির পুনর্বাসন দরকার যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।”

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Dhaka-Ctg Highway Expansion: Example of wasting public money লিংকে ক্লিক করুন)

Comments

The Daily Star  | English
interim government struggles with decision-making

Interim govt struggling on many fronts

The government on around a dozen occasions has backtracked on its decisions during its two months in office, casting doubts about its resolve.

12h ago