বায়ার্নে ফিরলেন লিভারপুলের কৌতিনহো

পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছিলেন ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে। ২০০৮ সাল থেকে এরপর ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভাস্কো দা গামা ও এসপানিওলের হয়ে খেলেছেন। তবে ২০১৩ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই যেন উড়ছিলেন ফিলিপ কৌতিনহো। কিন্তু ২০১৮ সালে জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পরই যেন ডানাটা ছেঁটে যায় তার। নিজেকে প্রতিনিয়তই যেন হারিয়ে খুঁজেছেন। তবে অবশেষে আবার নিজেকে ফিরে পেয়েছেন এ ব্রাজিলিয়ান তারকা।
ছবি: এএফপি

পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছিলেন ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে। ২০০৮ সাল থেকে এরপর ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভাস্কো দা গামা ও এসপানিওলের হয়ে খেলেছেন। তবে ২০১৩ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই যেন উড়ছিলেন ফিলিপ কৌতিনহো। কিন্তু ২০১৮ সালে জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পরই যেন ডানাটা ছেঁটে যায় তার। নিজেকে প্রতিনিয়তই যেন হারিয়ে খুঁজেছেন। তবে অবশেষে আবার নিজেকে ফিরে পেয়েছেন এ ব্রাজিলিয়ান তারকা।

চলতি মৌসুমের শুরুতে বার্সেলোনা থেকে ধারে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন কৌতিনহো। আর বুন্দাসলিগায় ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। এরমধ্যেই বায়ার্নের অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের জয়ে প্রতি ম্যাচেই রাখছেন দারুণ ভূমিকা। ঠিক যেমনটা ছিলেন লিভারপুলে।

২০১৮ সালের শীতকালীন দলবদলে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে অবশ্য ভাঙা মৌসুমে খুব একটা খারাপ খেলেননি কৌতিনহো। দলও সন্তুষ্ট ছিল। কিন্তু পরে নতুন মৌসুমে ধীরে ধীরে রঙ হারাতে থাকেন। একসময় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। কাতালান ক্লাবে সবমিলিয়ে ৭৬টি ম্যাচ খেলেছেন কৌতিনহো। তাতে গোল করেছেন ২১টি।

মূলত লিওনেল মেসির উপস্থিতিতে তাকে বাঁপ্রান্তে উইঙ্গার হিসেবে খেলিয়েছেন বার্সা কোচ এরনেস্তো ভালভার্দে। দলের মূল প্লেমেকার হিসেবে খেলেছেন মেসি। বার্সেলোনার এ কৌশলে মানিয়ে নিতে পারেননি কৌতিনহো। ফলে ধীরে ধীরে মূল একাদশে জায়গাই হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু লিভারপুলে থাকতে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন ডানপ্রান্তে। আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতেন মাঝ খানে।

এছাড়া গত নভেম্বরে ইন্টার মিলানের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছিলেন কৌতিনহো। ইনজুরি সেরে উঠলেও পরে আর আগের ছন্দ ফিরে পাননি। তবে চলতি মৌসুমে বায়ার্নে গিয়ে নিজের হারানো জায়গা ফিরে পেয়েছেন কৌতিনহো। আর তাতেই যেন জ্বলে উঠেছেন এ তারকা। এরমধ্যে পাঁচ ম্যাচ খেলে ২টি গোল করেছেন। করিয়েছেনও ২টি গোল।

বায়ার্ন কোচ নিকো কোভাচ অধিকাংশ ম্যাচে খেলাচ্ছেন ৪-২-৩-১ ফরমেশনে। যেখানে রবার্তো লেভান্ডফস্কির পেছনে তিন মিডফিল্ডার খেলাচ্ছেন। যেখানে দুই প্রান্তে কিংসলেই কোমান ও সের্জি জিনারব্রির মাঝে খেলছেন কৌতিনহো। তাকে ঘিরেই তৈরি হচ্ছে দলের মূল পরিকল্পনা। আর তাতে প্রমাণিত যে সাবেক এ লিভারপুল তারকার ভালোবাসা ও দলে গুরুত্বটা ছিল খুব প্রয়োজন। যেটা পাননি বার্সেলোনায়। আর বায়ার্নে দুর্দান্ত পারফর্ম করায় দারুণ খুশি ক্লাবটির ভক্ত সমর্থকরা।

আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ড যাচ্ছেন কৌতিনহো। প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম হটস্পার্স। কোন সন্দেহ নেই নিজের চেনা ছন্দের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সেরা চেষ্টাই করবেন এ ব্রাজিলিয়ান তারকা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago