ধর্ষণের শিকার ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ধর্ষণের পর ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল বাশারের (৪০) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
আজ (১ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আবুল বাশার উপজেলার একটি দাখিল মাদ্রাসার গণিতের শিক্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আবুল বাশার প্রায় পাঁচ বছর আগে ওই মাদ্রাসায় বিএসসি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি মাদ্রাসার পাশেই একটি বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। ওই ছাত্রী আবুল বাশারের কাছে গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়তেন। গত তিন মাস আগে ওই শিক্ষকের বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে আবুল বাশার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
ছাত্রীটির বাবা জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন। পরদিন আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর প্রতিবেদনে দেখা যায়, মেয়েটি ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী জানায়, শিক্ষক আবুল বাশার তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বলেন, বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন শিক্ষক আবুল বাশার। সেজন্য ভয়ে সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
যোগাযোগ করা হলে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মেয়েটি পেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসে। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখা গেছে সে ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
Comments