সোয়া কোটি টাকা ও মাদক উদ্ধার, আটক ৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
Narayangonj-Money.jpg
নগদ টাকা ও মাদকসহ আটক জামাল হোসেন মৃধা। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ (২ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় ‘মাদক চোরাকারবারি’ জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়।

আটককৃতরা হলেন- জামাল হোসেন মৃধা (৪৫), তার সহযোগী মোস্তফা কামাল (৩৫) ও প্রতিবেশী মানিক মিয়া (৩৬)।

ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মিজান জানান, রূপগঞ্জের রসুলপুর এলাকার কয়েল ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান প্রবেশ করবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই এলাকায় নজরদারি শুরু করে। মধ্যরাত থেকে জামাল হোসেন মৃধার চার তলা বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্লাটে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় একটি ট্রাংক থেকে নগদ এক কোটি টাকা এবং আলমারির ভেতর থেকে আরও পঁচিশ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে বাড়িটির নিচ তলায় জামাল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদ ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এসপি হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, আটক হওয়া ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধা নিজেকে তিনটি কয়েল কারখানার মালিক দাবি করলেও এর কোনো বৈধ লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। জব্দকৃত টাকার বৈধ কোনো উৎসও দেখাতে পারেননি। এ টাকাগুলো হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার জন্য রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কয়েল ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবার চালিয়ে আসছেন বলেও সন্দেহ রয়েছে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে, ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে মাদদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে এবং আবাসিক এলাকায় কয়েল কারখানা নির্মাণ করে পরিবেশ দূষণের অপরাধে পরিবেশ আইনে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হবে।

পাশাপাশি জামাল হোসেন বাড়িতে এতো টাকা কী কারণে রেখেছেন, ইয়াবা ব্যবসা করে কতো টাকার মালিক হয়েছেন এবং তিনি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন কী না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago