স্কুলে যেতে সাঁতার কেটে পার হতে হয় দুটি খাল

schoolgirl taslima swims
বই-খাতা একটি হাঁড়িতে নিয়ে সাঁতার কেটে খাল পার হচ্ছে অনুপনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তসলিমা খাতুন। ছবি: স্টার

বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে স্কুল। সেই স্কুলে যেতে তাকে সাঁতার কেটে পার হতে হয় দুটি খাল। অথচ, তার বয়সের শিক্ষার্থীরা একটু সুযোগ পেলেই স্কুল পালায়। অথবা ছোট-খাটো অজুহাতে কামাই দেয় স্কুল।

এই অদম্য শিক্ষার্থীর নাম তসলিমা খাতুন। সপ্তম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চর অনুপনগরে। সম্প্রতি, ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় পানি বেড়ে যায় পদ্মা ও মহানন্দা নদীর। এই মহানন্দার দুটি খাল পানিতে ভরে যায়। তাই স্কুলে যেতে তাকে সাঁতার কাটতে হয়।

গরিব ঘরে জন্ম তসলিমার। সংসারে আট ভাই-বোন। যে গ্রামে বিদ্যালয়-ছুট শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি ও বাল্য বিয়ের প্রবণতা রয়েছে সেই গ্রামে থেকে ১৪ বছর বয়সী তসলিমা লেখাপড়ার জন্যে মেনে নিতে পারে যেকোনো কষ্ট। কেননা, সে জানে শিক্ষাই তাকে মুক্তি দিবে সব দুঃখ-দারিদ্র্য থেকে।

আড়াই কিলোমিটার দূরে স্কুল। তাই প্রতিদিন আসা-যাওয়ায় তাকে পাঁচ কিলোমিটার চলাচল করতে হয়। পুরো পথ তাকে হাঁটতে ও সাঁতার কাটতে হয়। কিন্তু, এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তসলিমার।

তসলিমা জানায়, বাবা মারা যাওয়ায় আমার বড় ভাই রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালায়। কিন্তু, তার আয়ও খুব বেশি না। তার তিন বোনের অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে গেলেও তার ইচ্ছা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে। তসলিমার ভাষায়, “আমরা গরিব। নিজেরে শিক্ষিত করতে পড়ালেখা করতে চাই। পড়া শেষ করে যাতে চাকরি পাই।”

তসলিমার বোন নাসিমা খাতুন বলেন, “আমরা সবাই চাই তসলিমা লেখাপড়া করুক। পড়ালেখা করে সে যেনো তার জীবনে সফল হতে পারে।”

অনুপনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মাহতাবউদ্দিন বলেন, “তসলিমাকে কোনোদিন ক্লাস মিস করতে দেখি নাই। খালগুলো পানিতে ভরে গেলেও সে স্কুল ফাঁকি দেয়নি।”

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই No hurdle big enough লিংকে ক্লিক করুন)

Comments

The Daily Star  | English

JnU protests called off

Students and teachers of Jagannath University called off their protest last night after receiving assurances from the government that their demands would be met.

2h ago