কাঁচের প্রতিমা
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী আজ (৬ অক্টোবর)। দেশের হাজার হাজার পূজামণ্ডপ এখন উৎসবে মাতোয়ারা। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ দল বেঁধে পূজা দেখতে আসছেন। পূজামণ্ডপগুলো ঝলমলে আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে উঠেছে। মন্দিরে মন্দিরে শোনা যাচ্ছে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসা ও ঢাকের বাদ্য।
পূজায় ভক্তদের আকর্ষণ বাড়াতে মৌলভীবাজারের কয়েকটি পূজামণ্ডপের আয়োজকরা নিয়েছেন ব্যতিক্রমী আয়োজন। তার মধ্যে মৌলভীবাজারের ফরেস্ট অফিস রোডের আবাহন পূজা উদযাপন পর্ষদ তৈরি করেছে ২০ ফুট উচ্চতার কাঁচের প্রতিমা। এটি এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে। অনেকে দেখতে আসছেন ব্যতিক্রমী ও নান্দনিক এই প্রতিমা।
আবাহন পূজা উদযাপন পর্ষদের আয়োজকদের সহযোগিতায় একটানা দুইমাস কাজ করে এই প্রতিমা তৈরি করেছেন কারিগররা। এদিকে এ কাঁচের দুর্গাকে দেখতে হাজারো দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে মৌলভীবাজারের এ পূজা মণ্ডপে।
কাঁচের এ দুর্গাকে দেখতে সিলেট থেকে এসেছেন তাপস দাস। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, “ব্যতিক্রমী ও নান্দনিক এই প্রতিমা আগে দেখিনি। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। ব্যতিক্রম এবং সৃষ্টিশীল এই কাঁচের প্রতিমা দেখলাম, অনেক ভালো লাগছে।”
আবাহন পূজা পর্ষদ এর সাধারণ সম্পাদক পুলকেশ কর রাজন বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি একটু ব্যতিক্রম এবং সৃষ্টিশীল কিছু করতে। পূজাতে যারা আমাদের মণ্ডপে আসবেন তাদের আপ্যায়নের পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তায় এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।”
“বিশ ফুট উচ্চতার কাঁচের প্রতিমা বাংলাদেশে প্রথম,” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“প্রতিমাটি তৈরি করতে প্রায় ৫০০ ফুট কাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে,” উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, “এটি তৈরি করেছেন রাজবাড়ির সুজিত পাল। তিনিসহ সাতজন কারিগর টানা দুইমাস কাজ করেছেন।”
পূজার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, “এবারের দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ করতে আমরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন ধাপে নিরাপত্তা প্রদান করছি। কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, এ বছর জেলার সাতটি উপজেলায় ৯৭৪টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মিন্টু দেশোয়ারা, দ্য ডেইলি স্টারের মৌলভিবাজার সংবাদদাতা
Comments