ব্রাহ্মণবাড়িয়া আ. লীগের একাংশের সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের বাধা

প্রশাসনের বাধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে। সেসময় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের বাগবিতণ্ডা ও হৈ-হুল্লোড়ের ঘটনা ঘটে।
৬ অক্টোবর ২০১৯, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। ছবি: স্টার

প্রশাসনের বাধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে। সেসময় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের বাগবিতণ্ডা ও হৈ-হুল্লোড়ের ঘটনা ঘটে।

আজ (৬ অক্টোবর) দুপুরে শহরের মৌলভীপাড়া এলাকায় প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি লুৎফুল হাই সাচ্চুর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিলো।

সম্মেলন শুরুর পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম মসিউজ্জামানের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ সম্মেলনস্থলে আসেন। তারা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মাইক কেড়ে নেন। সেসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমানুল হক সেন্টু।

বাধার মুখে আয়োজকরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কারণ জানতে চাইলে তিনি সম্মেলন করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানান। এ নিয়ে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে নেতাকর্মীদের প্রায় আধা ঘণ্টা কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় শেখ হাসিনা’ স্লোগান দেন। এরই মধ্যে পুলিশ সদস্যরা আয়োজকদের ঘিরে ফেলায় সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। পরে সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শিমুল পারভেজ একটি জাতীয় দৈনিকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

এদিকে আয়োজনস্থলের বাইরে জেলা আওয়ামী লীগের অপর অংশের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাধার কারণ জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম মসিউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়ে কোনো অনুমতি ছিলো না।” অপরদিকে আরেকটি পক্ষ একই এলাকায় আরেকটি কর্মসূচী ঘোষণা করেছে বলেও দাবি করেন এই ম্যাজিস্ট্রেট। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রাখতে তাদের সংবাদ সম্মেলন শেষ করতে বলা হয় বলে জানান তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন বলেন, “জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার কর্তৃক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে দ্বিধাবিভক্ত করার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিলো। সংবাদ সম্মেলন করতে প্রশাসনের কোনো পূর্বানুমতি লাগে না। প্রশাসনের লোকেরা সাংসদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আমাদের সম্মেলনে অনধিকার প্রবেশ করে ও বাধা দেয়।”

প্রসঙ্গত, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ দৃশ্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার এবং অপর পক্ষে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন।

Comments

The Daily Star  | English

Mob beating at DU: Six students confess involvement

Six students of Dhaka University, who were arrested in connection with killing of 35-year-old Tofazzal Hossain inside their hall on Wednesday, confessed to their involvement in the crime before a magistrate

4h ago