সম্রাটকে ৬ মাসের কারাদণ্ড
কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীতে এনে অভিযানের পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে গিয়ে সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে অস্ত্র, বিদেশি মদের পাশাপাশি ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়। এ কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারদণ্ড দেওয়া হয়। আর আরমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম তাদের সাজার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
আটক করে ঢাকায় আনার পর সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয় ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ক্যাঙারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে।
একই সময় সম্রাটের ভাইয়ের শান্তিনগরের বাসা ও সম্রাটের মহাখালীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দুপুর সোয়া একটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অবস্থান করেছিলেন সম্রাট। পরে তিনি অন্য জায়গায় চলে যান। র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেছেন, অভিযান শুরুর ২ দিনের মাথায় সম্রাট ঢাকা ত্যাগ করেন। আজ কুমিল্লা থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে যুবলীগের আরেক নেতা আরমানকেও আটক করে র্যাব। সেখান থেকে তাদের রাজধানীর উত্তরায় র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিয়ে অভিযানে বের হয় র্যাব।
আরও পড়ুন:
সম্রাটের কার্যালয়ে অস্ত্র, মাদক ও ক্যাঙারুর চামড়া
সম্রাটের কার্যালয়ে র্যাবের অভিযান
গ্রেপ্তার এড়াতে কৌশল খাটাতো সম্রাট: র্যাব ডিজি
Comments