বার্সার বড় জয়ে মৌসুমের প্রথম গোল পেলেন মেসি
মৌসুম শুরুর আগেই পড়েন ইনজুরিতে। পুরো ফিটনেস পাওয়ার আগে দলের প্রয়োজনে নেমেছেন মাঠে। কিন্তু গোল মিলেনি। এদিন প্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বী সেভিয়ার বিপক্ষেই মৌসুমের গোল পেলেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তার গোলের ফেরার দিনে বড় জয়ও পেয়েছে বার্সেলোনা। সেভিয়াকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠে ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বার্সেলোনা। যদিও গোল করার মতো ভালো সুযোগ প্রথমে পেয়েছিল সেভিয়াই। ১১তম মিনিটে লিকাস ওকাম্পোসের পাস থেকে দারুণ এক কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন লুক ডি ইয়ং। তবে অসাধারণ দক্ষতায় সে শট ফিরিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন।
১৬তম মিনিটে ছোট ডি-বক্সে একবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন জেরার্দ পিকে। কিন্তু ঠিকভাবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারায় সে সুযোগ নষ্ট হয়। পরের মিনিটে সুযোগ ছিল সেভিয়ারও।ওকাম্পাসের হেড থেকে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন লুক ডি ইয়ং। কিন্তু নিশা ঠিক রাখতে পারেননি।
২৬তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো সেভিয়া। ওকাম্পাসের এর ক্রস থেকে দারুণ হেড দিয়েছিলেন লুক ডি ইয়ং। কিন্তু অল্পের জন্য বার পোস্টের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। উল্টো পাল্টা আক্রমণে গোল খেয়ে বসে দলটি। নেলসন সেমেদোর ক্রস থেকে দারুণ এক বাই সাইকেল কিকে জাল খুঁজে নেন লুইস সুয়ারেজ। চার মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সা। বাঁপ্রান্ত থেকে আর্থুর মেলোর নিখুঁত এক পাসে সেভিয়ার গড়া অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে আলতো টোকায় দিক বদলে লক্ষ্যভেদ করেন আর্তুরো ভিদাল।
৩৫তম মিনিটে ফ্রিক থেকে নেওয়া মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সা। দারুণ এক গোল দেন দেম্বেলে। আর্থুরের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক কোণাকোণি শটে জাল খুঁজে নেন এ ফরাসী তারকা।
৪৯তম মিনিটে আর্থুর মেলোর ভুলে গোল খেতে বসেছিল বার্সা। ডিবক্সের সামনে তার কাছ থেকে বল কেড়ে নেন লুক ডি ইয়ং। ভালো শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু বার পোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশা বাড়ে অতিথিদের। চার মিনিট পর সের্জিও রেগুলুনের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক স্টেগেন। ৫৮তম লুক ডি ইয়ংয়ের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৬০তম মিনিটে দুর্দান্ত মেসি। পাঁচ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন। তবে দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে পরে ঠেকিয়ে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক থমাস ভাসলিক। পরের মিনিটে পিকের হেড অল্পের লক্ষ্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৮ মিনিটে ভিদালের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল আকাশে মারেন দেম্বেলে।
৭৮ মিনিটে গোল পান মেসি। ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া ফ্রিকিকে লক্ষ্যভেদ করেন এ আর্জেন্টাইন। ৮৩তম মিনিটে সুয়ারেজের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে দূরপাল্লার দারুণ শট রাকিতিচ। অল্পের জন্য নিশানা ঠিক থাকেনি।
৮৬ মিনিটের মেসির দূরপাল্লার শট লুফে নেন সেভিয়া গোলরক্ষক। পরের মিনিটে সুয়ারেজ পেতে পারতেন দ্বিতীয় গোল। মেসির কাছ থেকে বল পেয়েও গোলরক্ষকের গায়ে মারেন তিনি।
৮৯ মিনিটে নয় জনের দলে পরিণত হয় বার্সেলোনা। সেভিয়ার হার্নান্দেজকে ডিবক্সের সামান্য বাইরে ফাউল করেন বদলী খেলোয়াড় রোনাল্ড আরুজো। ফলে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। সে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় ওসমান দেম্বেলেকেও লাল কার্ড দেখান তিনি। এরপর সের্জিও বুসকেতসকে হলুদ কার্ডও দেখান। তবে এ থেকে কোন সুবিধা আদায় করে নিতে পারেনি অতিথিরা। পরে আর কোন গোল না হলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
Comments