কিছু শিল্পীর ভোটাধিকার বাদ, অনিয়মের অভিযোগ
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/shilpi_samity-1.jpg?itok=AjqfCtAS×tamp=1570434440)
আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরেই এফডিসিতে দেখা যাচ্ছে উৎসবের আমেজ। এই উৎসবের বাইরেও কিছু শিল্পীদের মনে রয়েছে হতাশা। কেননা, তাদের ভোটাধিকার বাদ দেওয়া হয়েছে এবার। নিয়ম দেখিয়েই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সমিতির গত মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের।
গত নির্বাচনে শিল্পী সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৬২৪ জন। মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল বিজয়ী হওয়ার পর এ তালিকা থেকে ১৮১ জন ভোটারের ভোটাধিকার বাতিল করে কেবল সহযোগী সদস্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নতুন করে ২০ জন শিল্পীকে নতুন ভোটার করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির ২০১৯-২০ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৪৪৯ জন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের বোর্ডে ভোটারদের এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে এবারের নির্বাচন কমিশন।
বাদ পড়া সেসব ভোটাররা অভিযোগ করেছেন মিশা-জায়েদের নামে। তাদের অনেকেই দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের কাছে বলছেন, “যে গঠনতন্ত্রের ধারার উপর ভিত্তি করে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে আবার একই ধারাকে না মেনে অনেককে সদস্য করেছেন এরা।”
গঠনতন্ত্রের যে ধারা নিয়ে কথা উঠেছে সেটি শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫(ক) ধারা। যেখানে স্পষ্ট করে লেখা আছে, বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া নূন্যতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। কার্যকরী পরিষদের আবেদন গৃহীত হলেই তিনি পূর্ণ সদস্যপদ পাবেন। ভোটাধিকার এবং কার্যকরী পরিষদের যে কোনো পদের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আর আবেদনকারীকে অবশ্যই পেশাগতভাবে চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী হতে হবে।
এ ধারাকে সামনে এনেই ১৮১ জন পূর্ণ সদস্যের ভোটাধিকার বাদ করে তাদের সহযোগী সদস্য করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে আবার গঠনতন্ত্রের এ ধারার বাইরে গিয়ে বেশকিছু শিল্পীকে সদস্য করা হয়েছে। যাদের অনেকেরই পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়নি। কিন্তু, তাদের ভোটাধিকার দেওয়া রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ডি এ তায়েব, মিষ্টি জান্নাত, আসিফ নূর, বিন্দিয়া কবির, আরিয়ান শাহ, শ্রাবণ শাহ, জেবা চৌধুরী, শিরিন শিলা, এইচ আর অন্তর, সানজু জন, তানহা তাসনিয়াসহ অনেকেই। গঠনতন্ত্র মোতাবেক এদের পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়নি।
দুইশোর বেশি ছবিতে অভিনয় করা সমিতির সদস্য পারভিন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “যতোগুলো ছবিতে আমি অভিনয় করেছি জায়েদ খান ততোগুলো ছবি সাইনও করতে পারেননি। সেই মানুষটা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আমাদের শিল্পী সমিতি থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা না কী শিল্পী না! সহযোগী চরিত্রে কাজ করলে নাকি শিল্পী হয় না!”
মিশা সওদাগর দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “এটা আমাদের একক সিদ্ধান্ত নয়। কার্যকরী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়েই ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। তবে সংশোধনের এ তালিকায় কিছু আসল সদস্যও বাদ পড়েছেন হয়তো। মানুষ তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের বেলায়ও হয়তো এমন কিছু হয়েছে।”
শিল্পী সমিতির সহসভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “এটা আবার কোন ধরনের নিয়ম। একই নিয়ম দেখিয়ে একজনকে বাদ দিবেন আবার অন্যজনকে নিবেন। যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তারা কি শিল্পী না? তারা কেনো ভোট দিতে পারবেন না?”
Comments