আবরারের সমস্ত শরীরে মারধর ও আঘাতের চিহ্ন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিহত আবরার ফাহাদ রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় মারা গিয়েছেন বলে তার ময়নাতদন্তে জানা গেছে।
আজ (৭ অক্টোবর) দুপুরে আবরারের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “ময়না তদন্তের পর আমরা তার সমস্ত শরীরে মারধর ও আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি।… মারের আঘাতের জন্যে সে মারা গিয়েছে। আঘাতগুলো দেখে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তাকে ভোঁতা কোনো কিছু দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে। এটি বাঁশও হতে পারে বা ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্পও হতে পারে।… তার শরীরের হাতে, পায়ে এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “যে পরিমাণ আঘাতের চিহ্ন তার শরীরে পেয়েছি… এক্সটেনসিভ ব্রুইস ছিলো। আমাদের ধারণা সেই এক্সটেনসিভ ব্রুইসের জন্যে সে মারা গেছে। তার হাতে, পায়ে এবং পিঠে ব্লান্ট ফোর্স ইনজুরি ছিলো। এর জন্যে তার শরীরে রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় সে মারা গিয়েছে।”
উল্লেখ্য, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ- ছাত্রলীগের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের রুম থেকে ডেকে নিয়ে ‘শিবির সন্দেহে আবরার ফাহাদকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা’ করেছে।
আরো পড়ুন:
Comments