আবরারের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচার দাবি
![Protest-1.jpg Protest-1.jpg](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/protest-1.jpg?itok=RzLeWxtx×tamp=1570437806)
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন।
সেসময় ডাকসু সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, “আমরা এখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোকে একটি বার্তা দিতে চাই যে, এভাবে আবরারের মতো আমরা আর কাউকে হারাতে চাই না। আমরা আবরার হত্যার বিচার চাই। আবরার হত্যায় জড়িত যারা রয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সেখানে সিসিটিভিতে যে ফুটেজ আছে, বুয়েট প্রশাসন সে ফুটেজ দিতে গড়িমসি করছে। আমরা অতিসত্বর দুষ্কৃতিকারীদের ধরিয়ে দিতে বুয়েট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, “আবরার হত্যায় যারা জড়িত ইতিমধ্যে তাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। আমাদের দাবি- অনতিবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের আগ্রাসন চলছে, কথা বলতে গেলেই শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হয়। শিক্ষার্থীরা কোথাও তাদের বাক স্বাধীনতা পাচ্ছে না। শুধু বুয়েট নয়, এর আগে ঢাবিতেও ছাত্রলীগের গেস্টরুম নির্যাতনের শিকার হয়ে একজন মারা গেছে।”
এরপর, শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাবি ও বুয়েট ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
মিছিল থেকে ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস, এক সাথে চলে না’, ‘বিচার চাই, বিচার চাই, আবরার হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই মরলো কেনো, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।
এছাড়াও, প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের অপর একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকেও আবরারের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করা হয়েছে।
আবরার হত্যার ঘটনায় সকাল থেকে পুরো বুয়েট ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সেখান থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, শেরে বাংলা হলের ভেতর এবং হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাফর ইকবালের কার্যালয়ের সামনে এবং ক্যাম্পাসের অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে জটলা করে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সহপাঠীকে হারিয়ে তাদের কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হল কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তারা নানা কারণ দেখিয়ে বিলম্ব করছে।
বর্তমানে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রচুর সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন:
‘রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় আবরার মারা গিয়েছেন’
Comments