আবরার হত্যা: ৯ জন আটক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট নয় জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে অন্তত চার জন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা।
শেরে বাংলা হলে যেখানে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সেই জায়গাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট নয় জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে অন্তত চার জন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণ পদ রায় সন্ধ্যায় বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নয় জন ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে যেখানে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে বেরিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছয় ছাত্রকে তারা সনাক্ত করেছেন যাদের মধ্যে ইতিমধ্যে চার জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

এই চার জনের সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা। তারা হলেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান রাসেল। এডিসি আব্দুল বাতেন এদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

এদের মধ্যে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মুহতাসিম ও মেহেদী শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ‘শিবির সন্দেহে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিবিরের সঙ্গে আবরারের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

 

আরও পড়ুন:

শিবিরের সঙ্গে আবরারের সংশ্লিষ্টতা ছিল না: পরিবার

দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন: ছাত্রলীগ

মতের পার্থক্যের কারণে কাউকে মেরে ফেলা উচিত না: কাদের

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আবরারের শেষ ফেসবুক পোস্ট

‘রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় আবরার মারা গিয়েছেন’

আবরারের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচার দাবি

আবরার হত্যায় বুয়েট ছাত্রলীগের ২ নেতা আটক

ছাত্রলীগের জেরার পর বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago