সম্রাটের বিরুদ্ধে র্যাবের ২ মামলা
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের নামে দুইটি মামলা করেছে র্যাব। অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আজ সোমবার সন্ধ্যায় রমনা থানায় মামলাগুলো করা হয়েছে।
ওই থানায় সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও যুবলীগ নেতা আনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মইনুল ইসলাম মামলার কথা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, র্যাব-১ এর উপসহকারী পরিচালক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। সম্রাটকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মাদকের মামলায় আরমানকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয় ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালিয়ে গতকাল বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ক্যাঙারুর চামড়া উদ্ধার করেছে র্যাব।
একই সময় সম্রাটের ভাইয়ের শান্তিনগরের বাসা ও সম্রাটের মহাখালীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অবস্থান করেছিলেন সম্রাট। পরে তিনি অন্য জায়গায় চলে যান। র্যাবের ডিজি বেনজীব আহমেদ বলেছেন, অভিযান শুরুর ২ দিনের মাথায় সম্রাট ঢাকা ত্যাগ করেন। রোববার কুমিল্লা থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে যুবলীগের আরেক নেতা আরমানকেও আটক করে র্যাব। কুমিল্লা থেকে তাদের রাজধানীর উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিয়ে অভিযানে বের হয় র্যাব।
এর মধ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সম্রাটকে ছয় মাসের ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সম্রাটের কার্যালয়ে অস্ত্র, মাদক ও ক্যাঙারুর চামড়া
সম্রাটের কার্যালয়ে র্যাবের অভিযান
গ্রেপ্তার এড়াতে কৌশল খাটাতো সম্রাট: র্যাব ডিজি
Comments