পাকিস্তানকে উড়িয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শ্রীলঙ্কার

ভানুকা রাজাপাকশের ফিফটি দাসুন শানাকার ঝড়ে বড় লক্ষ্য পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কাসুন রাজিতা, নুয়ান প্রদীপদের পেস আর ওয়াইন্দু হাসারাঙ্গার লেগ স্পিনে কাবু হয় জবাব দিতে পারেনি পাকিস্তান।
Photo: AFP

ভানুকা রাজাপাকশের ফিফটি দাসুন শানাকার ঝড়ে বড় লক্ষ্য পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কাসুন রাজিতা, নুয়ান প্রদীপদের পেস আর ওয়াইন্দু হাসারাঙ্গার লেগ স্পিনে কাবু হয় জবাব দিতে পারেনি পাকিস্তান।

লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানকে  ৩৫  রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতেই জিতে নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়। শ্রীলঙ্কার করা ১৮২ রানের জবাবে পাকিস্তান থেমেছে  ১৪৭ রানে।

টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে দাসুনকা গুনাথিলেকাকে হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তিনে নামা রাজাপাকশে শুরু থেকে চড়াও হলে সে ধাক্কা টের পাওয়া যায়। আরেক ওপেনার আবিস্কা ফার্নেন্দোও মাত্র ৮ রান করে ফেরেন। কিন্তু রাজপাকশের তান্ডব চলতে থাকায় কোন কিছু গায়ে মাখেনি লঙ্কানরা। শিহান জয়াসুরিয়াকে নিয়ে এই বাঁহাতি গড়েন ৯৪ রানের জুটি। যার মধ্যে ৫২ রানই তার।

৪৮ বলে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় ৭৭ করে থামেন রাজাপাকশে। জয়াসুরিয়া রান আউট হন ২৮ বলে ৩৪ করে। শেষ দিকে অধিনায়ক শানাকা শুরু করেন তাণ্ডব। তার মাত্র ১৫ বলে ২৭ রানের ঝড়ে এক লাফে একশো আশি ছাড়িয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

১৮৩ রানের বড় রান তাড়ায় একদম শুরুতেই তছনছ হয়ে পড়ে পাকিস্তানের টপ অর্ডার। দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই আউট হন বাবর আজম, ফখর জামান। দলে ফেরা আহমেদ শেহজাদ টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হন ব্যর্থ। তারচেয়ে করুন দশা দলে ফেরা আরেক ব্যাটসম্যান উমর আকমলের। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি।

অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ স্রোতের বিপরীতে চালিয়েছিলেন পালটা আক্রমণ। ওয়াইন্দু হাসারাঙ্গা কেড়ে নেন তাকেও। ৫২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। দলের বিপর্যয়ে আগ্রাসী ব্যাট চালিয়েছিলেন ইমাদ ওয়াসিমও। তার ২৯ বলে ৪৭ রানের ইনিংস থামে ইসুরু উদানার বলে।

লেজটা পরে মুড়ে নেন প্রদীপ। প্রথম ম্যাচের মতো ঝলক দেখিয়ে এই পেসার এদিনও ২৫ রানে নেন ৪ উইকেট। লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা পান ৩৮ রানে ৩ উইকেট। আরেক পেসার কাসুন রাজিতা ১ উইকেট পেলেও ৩ ওভার রান দিয়েছেন মাত্র ১১।

৯ অক্টোবর একই ভেন্যুতে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলবে দুদল।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago