‘বুয়েটেও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত’

বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, তিনি ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ বুয়েট শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান। ছবি: স্টার

বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, তিনি ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ বুয়েট শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানান।

তিনি এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলারও আশ্বাস দেন। বলেন, “আমার মনে হয় না বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে। বুয়েটেও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।”

ঘটনাস্থল থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা জানান, ‘কবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে?’- শিক্ষার্থীরা তা জানতে চাইলে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, “এ নিয়ে আমি অতি দ্রুত ভিসি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলবো। কথা বলার পর একটা সমাধানে আসবো।”

শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে তখনি উপাচার্যকে ফোন দেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি দুবার ফোন দিয়ে উপাচার্যের ফোন বন্ধ পান।

সেসময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও তার পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন।

এরপর বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একেএম মাসুদ বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। তিনি বলেন, “আবরারের এই ঘটনায় শিক্ষক হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। কারণ, অভিভাবকরা বিশ্বাস করে, ভরসা করে আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পাঠিয়েছেন। আমরা সেই ভরসার জায়গা রক্ষা করতে পারি নাই।”

শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবির প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, আগামীকাল (৯ অক্টোবর) শিক্ষকদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সে সভা থেকে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ‘শিবির সন্দেহে’ পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার নেতাদের বিরুদ্ধে।

হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গতকাল (৭ অক্টোবর) বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

Comments