দুপুরে সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা, উপাচার্য গেলেন কুষ্টিয়ায়
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধারের পরও ক্যাম্পাসে আসেননি উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। সেসময় বাসভবন বা কার্যালয় ঘুরে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
গতকাল (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগের দিন রাত ১০টার দিকে বুয়েট প্রাঙ্গণে আবরারের প্রথম জানাজা হয়েছিলো। দুটোর কোনোটিতেই উপস্থিত ছিলেন না উপাচার্য। এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
অবশেষে, ঘটনার ৩৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর গতকাল সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন তিনি এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
এসব ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ (৯ অক্টোবর) দুপুর ২টার মধ্যে জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু, শিক্ষার্থীদের আহ্বানে কোনো সাড়া না দিয়ে আজ আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তিনি কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী তাদের বলেছেন যে, উপাচার্য আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গায় যাচ্ছেন। উপাচার্য ও তার সফরসঙ্গীরা বর্তমানে রাস্তায় আছেন।
এদিকে, কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আমাদের স্থানীয় সংবাদদাতা জানান, আজ দুপুর তিনটার মধ্যে বুয়েট উপাচার্যের কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে সাময়িক বিশ্রাম শেষে তিনি আবরারের গ্রামের বাড়িতে যাবেন।
আরো পড়ুন:
বুয়েটে ৭ দিনের মধ্যে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম
উপাচার্যকে পেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ
বুয়েট শাখার ৯ নেতাকে বহিষ্কার করলো ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগের জেরার পর বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
সিসিটিভি ফুটেজ: আবরারকে পাঁজাকোলা করে সিঁড়িতে নেওয়া হয়
শিবিরের সঙ্গে আবরারের সংশ্লিষ্টতা ছিল না: পরিবার
দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন: ছাত্রলীগ
মতের পার্থক্যের কারণে কাউকে মেরে ফেলা উচিত না: কাদের
Comments