টি-টোয়েন্টিতে ছিটকে পড়া মিরাজ এখন টেস্টে মনযোগী

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বিবর্ণ থাকার পর ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টির দল থেকে বাদ পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। শ্রীলঙ্কায় ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে যান দুটি চারদিনের ম্যাচ। তাতে পারফরম্যান্স হয়েছে অম্ল-মধুর। সামনে ভারত সফর। সেখানে টি-টোয়েন্টি নয়, দলের চাহিদা মেনে মিরাজ বেশি ভাবছেন টেস্টের কথাই।

শ্রীলঙ্কায় দুটি আনঅফিসিয়াল টেস্টের বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথমটিতে ৪৬.১ ওভার বল করে ১৫০ রান দিয়ে এই অফ স্পিনার নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয়টিতে প্রথম ইনিংসে ৩৭ ওভার বল করে ৮৪ রানে নেন ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ৩৭ ওভার বল করে ১১৮ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য।

দুই ম্যাচেই লম্বা স্পেলে বল করতে হয়েছে তাকে। গত কয়েকদিনের এলোমেলো বোলিং দশা কাটাতে এটা বেশ কাজে দিয়েছে বলে মনে করছেন তিনি, অনেক সময় ধরে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছি। অনেকদিন পর এমন সুযোগ পেয়েছি, যেটা দেশের বাইরে। বেশ কয়েকদিন ধরেই সাদা বলে বেশি খেলা হয়েছে, লাল বলে খেলার তেমন সুযোগ পাইনি। আমার জন্য এটা অনেক বড় একটি সুযোগ ছিল দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলার। আমার যেখানে বল করা উচিত ছিল, লাইন-লেন্থে আমার কিছু সমস্যা ছিল সেগুলো এই দুই ম্যাচ খেলার ফলে অনেক উন্নতি হয়েছে। সামনে এনসিএল খেলা আছে, আশা করি আসন্ন ম্যাচগুলোতে আরও উন্নতি করতে পারব।’

ভারতের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি আছে, সামনে আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেইসঙ্গে ভারত সফর দিয়েই শুরু হচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আপাতত টি-টোয়েন্টির কথা না ভেবে মিরাজ চাইছেন লাল বলেই বড় কিছু করে দেখাতে, ‘আসলে একটা জিনিস দেখেন আমার কাছে মনে হয়, বিশেষ করে লাল বলে ফোকাসটা বেশি দিতে হবে। কারণ সামনে আমাদের অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে। আর আমিও বিগত কয়েকটি টেস্ট ম্যাচে ভালোভাবে বোলিং করতে পারছিলাম না, এলোমেলো হচ্ছিল। আমার কাছে মনে হয় এটা আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণা। সামনে টেস্ট ম্যাচ আছে, সেখানে যেন ভালোভাবে ফিরে আসতে পারি সেজন্য হয়তো আমাকে চিন্তা করেছে। আমি নিজেকে আর পরিণত করতে যাচ্ছি সামনে ভালো কিছু করার জন্য।’

আপাতত টি-টোয়েন্টির জন্য বিবেচিত হচ্ছেন না। দলের চাওয়াকে মেনেই নিজেকে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের জন্যই তৈরি রাখতে মানসিক প্রস্তুতি তার, ‘আসলে এখন আমার থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বুঝবে আমার কোথায় খেলা উচিত। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটার ওপর স্থির থাকতে হবে। তারা হয়তো চিন্তা করছে আমাকে টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করতে হলে এখানে আরও সময় দিতে হবে। আমি সব সময় প্রস্তুত সব ক্রিকেট খেলার জন্য। আমি সেভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেব।’