এই দল নিয়েই পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল শ্রীলঙ্কা
ম্যাচ জিততে শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৫৪ রান। হাতে ৮ উইকেট থাকায় কাজটা ছিল না খুব একটা কঠিন। কিন্তু এরপরই টপাটপ পড়তে থাকে উইকেট। খেই হারানো সরফরাজ আহমেদের দল আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি। নিরাপত্তার কারণে সেরা কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেশে রেখে এসেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাই পাকিস্তানিদের হোয়াইটওয়াশ করল শ্রীলঙ্কা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ১৩ রানে। আগে ব্যাট করে লঙ্কানদের করা ১৪৭ রানের জবাবে পাকিস্তান থামে ১৩৪ রানে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে দানুসকা গুনিথেলার সঙ্গে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে সিরিজে প্রথমবারের মতো ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তাদের উদ্বোধন জুটি একেবারেই জমেনি। উলটো টপ অর্ডারে নামে ধস। ৩০ রানে ৩ আর ৫৮ রানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। অধিনায়ক দাসুন শানাকাও এদিন ছিলেন মন্থর।
চরম বিপর্যস্ত দলকে পালটা আক্রমণে লাইফলাইন এনে দেন ওসাদা ফার্নেন্দো। পাকিস্তানি বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়ে একাই ঘুরিয়ে দেন খেলার মোড়। মাত্র ৪৮ বলে ৮ চার ৩ ছক্কায় ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। দলকে নিয়ে যান দেড়শোর কাছে।
ফার্নেন্দোর ইনিংসেরও পরও পাকিস্তানের লক্ষ্যটা ছিল একেবারে নাগালে। সে লক্ষ্যে ফখর জামান শুরুতে ফিরলেও বাবর আযম-হারিস সোহেল দলকে টানছিলেন ভালোই। ৩২ বলে ২৭ করে বাবর ফিরে গেলে সরফরাজকে নিয়ে এগুতে থাকেন হারিস। যদিও দুজনের খুব বেশি মেরে খেলতে দিচ্ছিলেন না লঙ্কান বোলাররা।
কিন্তু ৫০ বলে ৫২ করে দলের ৯৪ রানে লেগ স্পিনার ওয়াইন্দু হাসারাঙ্গার বলে তিনি আউট হওয়ার পর উলটোপথে হাঁটে পাকিস্তান। পড়তে থাকে টপাটপ উইকেট। বেড়ে যায় আস্কিং রানরেটের চাপ। যা আর শেষে কুলিয়ে উঠা যায়নি তাদের। লেগস্পিনার হাসারাঙ্গা এদিনও দেখিয়েছেন ঝলক। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
Comments